করোনা টিকা থাকলে তবেই দেশে প্রবেশ। আর সেই করোনা টিকা গ্রহণের প্রমাণকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের তকমা। শুক্রবার এ বিষয়ে G7 প্লাস-এর বৈঠকে এমন পরিকল্পনারই বিরোধিতা করল ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন, 'এই ভাবনা বিভেদ সৃষ্টি করবে। অনেক অনুন্নত দেশই এখনও পর্যাপ্ত টিকাকরণ করে উঠতে পারেনি।'
এ বিষয়ে টুইটেও নিজের মতামত পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, উন্নত দেশগুলির তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলি টিকাকরণে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে। জনসংখ্যার একটা ছোট অংশই টিকা পেয়েছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিরোধিতা করছে ভারত।
G7 অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্রের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই অন্যান্য দেশ থেকে কারও প্রবেশের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের নিয়ম চালু করার বিষয়ে আলোচনা করছে। একইভাবে আন্তর্জাতিক উড়ান পুরোদমে চালুর আগেই এ বিষয়ে ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপান। কোনও ডিজিটাল ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট-এর মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি শুরু করার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতে ইতিমধ্যেই ২২ কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ করোনা টিকা গ্রহণ করেছে। দেশের অভ্যন্তরেই টিকার উত্পাদনের কারণে প্রক্রিয়াটি সহজতর হয়েছে। কিন্তু বহু উন্নয়নশীল দেশেই সেই সুবিধা নেই। অন্য দেশ থেকে টিকা আমদানির উপরেই তারা নির্ভরশীল। তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম জারি হলে অত্যন্ত সমস্যা হবে বলে এদিন জানানো হয়।