পূর্ব লাদাখে শীতেও থাকতে হবে, এভাবেই ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। শীতের পোশাক, পর্যাপ্ত রেশন যাতে থাকে, সেজন্য ইতিমধ্যেই সরঞ্জাম পৌঁছতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ভারতের এই মানসিকতা দেখে প্রমাদ গুণছে চিন। তাই এখন নানান রকম মনস্তাত্বিক কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে লাল ফৌজ ভারতীয় সেনার মনোবল ভাঙার জন্য।
প্রসঙ্গত, গত আড়াই সপ্তাহে প্যাংগংয়ে খেলা অনেকটা ঘুরে গিয়েছে। লেকের দক্ষিণ অঞ্চলে রেজাং লা-রেচিন লা বরাবর সুবিধাজনক স্থানে এখন অবস্থান করছে ভারত। সেখান থেকে চিনের প্রতিটি গতিবিধির ওপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে প্যাংগংয়ের উত্তরেও ফিঙ্গার ৪-এ এখন সুবিধাজনক অবস্থায় ভারত। প্রথমে লাল চক্ষু দেখিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে গেলেও প্রতিহত হয়েছে লাল ফৌজ। সীমান্তে তিন বার ইতিমধ্যেই চলেছে গোলাগুলি।
এবার তাই কৌশল বদলেছে চিন। ফিঙ্গার ৪-এ আপাতত তারস্বরে চলছে পঞ্জাবি গান। অন্যদিকে চুশূলের মলডো গ্যারিসন থেকে হিন্দিতে ভারতীয় সেনাদের বার্তা দিচ্ছে চিন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে তাদের জন্যই জওয়ানদের ঠান্ডায় থাকতে হবে ওখানে।
প্রাক্তন এক সেনা প্রধানের কথায়, আগেও ১৯৬২ ও ১৯৬৭ দ্বন্দ্বের সময়েও এই পন্থা অবলম্বন করেছিল চিন। তবে পঞ্জাবি গানে অবাক হয়েছে ভারতীয়রা।
অন্যদিকে, সীমান্তের কাছে রাস্তাগুলিকে বরফ মুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে Border Roads Organisation (BRO). লাদাখ সংলগ্ন দৌলত বেগ ওল্ডির সব ব্রিজ ঠিক করা হচ্ছে যাতে সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্রাক তার ওপর দিয়ে যেতে পারে।
প্যাংগংয়ের পথে পড়ে চাং লা পাস ও খারদুং লা। সেগুলিকে বরফমুক্ত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ১৬,০০০ ফুটের ওপর শিঙ্কু লা-এ টানেল কত দ্রুত তৈরী করা যায়, সেই নিয়েও এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।