আগামী মার্চের মধ্যে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশনের IPO লঞ্চের চেষ্টা করছে সরকার। এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ব্লুমবার্গের সাক্ষাত্কারে সীতারামনকে প্রশ্ন করা হয়, চলতি অর্থবর্ষেই LIC-র আইপিও লঞ্চ হবে কিনা। তার উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। করাটা কোনও ব্যাপার নয়। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করাটাই আসল প্রশ্ন।'
সীতারামন বলেন, এলআইসির প্রতি বছরই মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। এ বছর সেটা এখনও হয়নি। এই প্রক্রিয়াটিই সময় নেবে। 'সুতরাং বিলম্ব বা যে সময়টি ব্যয় করা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট নীতি মেনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের কারণে নয়,' স্পষ্ট করে দেন তিনি।
সীতারামন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে LIC-র শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মহামারীর কারণে প্রক্রিয়াটি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে ফের উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট এখনও শেষ হয়নি। সরকার এলআইসি বিক্রির জন্য ব্যাঙ্কার এবং আইনি উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
দেশের বিমার বাজারের দুই-তৃতীয়াংশ LIC-র দখলে। প্রায় ৫১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদশালী বিশাল এই সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই মূল্যায়ন করা বেশ কয়েক মাসের কাজ।
সরকার ১০% পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি করে ১০ ট্রিলিয়ন টাকা (১৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করতে চাইছে। ৫% অংশীদারিত্ব বিক্রি করলেই এটি ভারতের সবচেয়ে বড় আইপিও হবে। আর ১০% বিক্রি হলে এটি সমগ্র বিশ্বে কোনও বিমা সংস্থার বৃহত্তম আইপিও হবে।
সীতারামন বলেন, 'আমি নিজে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন না করেই বাজারে(শেয়ার) ঢুকতে পারব না।' তিনি জানান, 'বাজারে প্রবেশের আগে আমাকে প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ পথ দিয়ে যেতে হবে। আমি আমার দায়িত্ব পূরণ করছি মাত্র।'
এই আইপিও সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ব সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে ১.৭৫ ট্রিলিয়ন টাকা জোগাড় করার পরিকল্পনার মূলে রয়েছে।