শিশির গুপ্ত
এমনিতেই জোর দেওয়া হচ্ছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়ায়’। তারইমধ্যে দামও অত্যন্ত বেশি। সেজন্য আপাতত আমেরিকার থেকে ৩০ টি সশস্ত্র প্রিডেটর ড্রোন কেনার পরিকল্পনা স্থগিত রাখল ভারত। নাম গোপন রাখার শর্তে এমনটাই জানিয়েছেন এক আধিকারিক। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ জানতে পেরেছে, সে বিষয়ে ইতিমধ্যে পেন্টাগনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিক্সের থেকে নৌবাহিনী, সেনা এবং বায়ুসেনার জন্য মোট ৩০ টি সশস্ত্র প্রিডেটর ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করেছিল ভারত। সেজন্য খরচ হত প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। নজরদারির জন্য ইতিমধ্যে মার্কিন সংস্থার থেকে লিজে দুটি প্রিডেটর ড্রোন নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। যা চিন এবং পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। সেই চুক্তিই আপাতত স্থগিত রেখেছে নয়াদিল্লি। নাম গোপন রাখার শর্তে সাউথ ব্লকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে বলেছেন, ‘আপাতত প্রিডেটর চুক্তি স্থগিত হয়ে গিয়েছে।’
কেন সেই চুক্তি স্থগিত রাখা হচ্ছে? একটি মহলের দাবি, সশস্ত্র ড্রোন তৈরির ক্ষমতা আছে ভারতের। আপাতত ইজরায়েলের হেরোন ড্রোনের আধুনিকীকরণের কাজ চালাচ্ছে। সেইসঙ্গে সম্ভবত আগামী মাসের মধ্যে মাঝারি পাল্লার ড্রোন নিয়ে আসতে চলেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। আবার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে 'হাই অলটিটিউট সিউডো ট্রোন' (হ্যাপস) প্রযুক্তি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছেন জাতীয় সুরক্ষা আধিকারিকরা। সেখানে প্রতিটি প্রিডেটর ড্রোনের দাম পড়ছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। যে প্ল্যাটফর্মের সহনশীলতা হচ্ছে প্রায় ২৭ ঘণ্টা। যে ড্রোন শুধুমাত্র নজরদারির মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে না, একইসঙ্গে টার্গেট খুঁজে বের করে মিসাইল বা লেজার বোমা দিয়ে সেটিকে ধ্বংস করে দেয়।