অনলাইনে লাগাতার 'নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক' আক্রমণের মুখে পড়ছেন সাংবাদিক রানা আয়ুব। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সেই বিবৃতি সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন এবং অযাচিত’ বলে দাবি করল ভারত। সেইসঙ্গে কড়া ভাষায় জানানো হল, এরকম ‘বিভ্রান্তিকর কাহিনিতে’ রাষ্ট্রসংঘের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
সোমবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দুই বিশেষ প্রতিনিধি (স্পেশাল র্যাপোর্টার) ইরিনি খান এবং মেরি ললোর বিবৃতি জারি করে বলেন, 'সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে অনলাইনে লাগাতার যে নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চলছে, তা নিয়ে অবিলম্বে এবং বিস্তারিতভাবে তদন্ত করতে হবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে। তাঁর উপর যে বিচারবিভাগীয় হেনস্থা চলছে, তাও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।'
অনলাইনে লাগাতার 'নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক' আক্রমণের মুখে পড়ছেন সাংবাদিক রানা আয়ুব। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সেই বিবৃতি সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন এবং অযাচিত’ বলে দাবি করল ভারত। সেইসঙ্গে কড়া ভাষায় জানানো হল, এরকম ‘বিভ্রান্তিকর কাহিনিতে’ রাষ্ট্রসংঘের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
সোমবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দুই বিশেষ প্রতিনিধি (স্পেশাল র্যাপোর্টার) ইরিনি খান এবং মেরি ললোর বিবৃতি জারি করে বলেন, 'সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে অনলাইনে লাগাতার যে নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চলছে, তা নিয়ে অবিলম্বে এবং বিস্তারিতভাবে তদন্ত করতে হবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে। তাঁর উপর যে বিচারবিভাগীয় হেনস্থা চলছে, তাও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।' |#+|
সেই বিবৃতির কিছুক্ষণ পরই পালটা মুখ খুলেছে নয়াদিল্লি। বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ করে জেনেভায় ভারতের স্থায়ী দূত বলেছেন, ‘(রানা আয়ুবের উপর) বিচারবিভাগীয় হেনস্থার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং অযাচিত। ভারতে আইনের শাসনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সমানভাবে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমাদের আশা, স্পেশাল র্যাপোর্টার (রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ) নিরপেক্ষ হবেন এবং সঠিকভাবে তথ্য জানবেন।’
বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছে, টুইটারে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি একটি নোটও পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ না করলেও ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয়ে উত্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ার দিকে আয়ুবের ১.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট সংস্থা (ইডি)। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, জনসেবার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। এরপর সেই টাকা ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করেছেন। যদিও ইডির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন আয়ুব। কীভাবে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে তা ‘যথোপযুক্ত জায়গায়’ ব্যবহার করা হয়েছে, সেই হিসাবও দেন তিনি।