কিছুটা কমল আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু রবিবারের তুলনায় সোমবার ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বাড়ল। তার জেরে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৪,০০০ ছুঁতে চলল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪৫ জনের। এখনও পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোমবার। একদিনে সবথেকে বেশি মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছিল গত ১৭ জুন। সেই ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছিল ২,০০৩। যদিও কেন্দ্র দাবি করেছিল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে মৃতের সংখ্যায় ভ্রান্তি ছিল, তাই একদিনে মৃতের সংখ্যা এতটা বেড়েছে। তাই গত ১৬ জুনের সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কতজনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কমেছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে রবিবার আটটা পর্যন্ত রেকর্ড ১৫,৪১৩ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪,৮২১। আপাতত মোট সংক্রমিতের সংখ্য়া ৪২৫,২৮২। তাঁদের মধ্যে এখনও করোনার কবলে রয়েছেন ১৭৪,৩৮৭। সেরে উঠেছেন মোট ২৩৭,১৯৫ জন। তাঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৯,৪৪০। ফলে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৭৭ শতাংশ। রবিবার তা ছিল ৫৫.৪৮ শতাংশ।
একনজরে ভারতের সর্বাধিক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রাজ্যগুলির পরিসংখ্যান -
১) মহারাষ্ট্র : মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২,০৭৫। মৃত্যু হয়েছে ৬,১৭০।
২) দিল্লি : তামিলনাড়ুকে ছাপিয়ে সর্বাধিক করোনা প্রভাবিত রাজ্যের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি। রাজধানীতে আপাতত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯,৭৪৬। মৃত্যু হয়েছে ২,১৭৫ জনের।
৩) তামিলনাড়ু : তৃতীয় স্থানে নেমে গেলেও তামিলনাড়ুর করোনা পরিস্থিতি শুধরোয়নি। বরং দিল্লির পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হওয়ায় পিছিয়েছে তামিনলাড়ু। সে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯,৭৩৭। মৃত্যু হয়েছে ৭৫৭ জনের।
৪) গুজরাত : ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মোট সংক্রমিত ২৭,২৬০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,৬৬৩ জনের।
৫) রাজস্থান : মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৩৯০। মৃত্যু হার অনেকটাই কম মরুরাজ্যে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের।
৬) উত্তরপ্রদেশ : মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭,৭৩১। মৃত্যু হয়েছে ৫৫০ জনের।
৭) পশ্চিমবঙ্গ : বাংলার পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। সক্রিয় রোগীর তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেশি। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৯৪৫। মৃত্যু হয়েছে ৫৫৫ জনের।