দেশজুড়ে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে করোনা আতঙ্ক। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দাবানলের গতিতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে চিন্তা আরও বাড়ল।
প্রতিদিন দেশে করোনার জেরে গড়ে ৮ জন মারা যাচ্ছেন। রবিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া শেষ আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৩৫৬ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। গত ১১ মার্চ ভারতে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল কর্নাটকে। তার পর থেকে গোটা দেশে হিসেব কষলে, শনিবার পর্যন্ত গড়ে রোজ ৮ জন করোনায় মারা যাচ্ছেন।
ভারতে করোনা সংক্রমণের হার শেষ দু-দিনে ২৮ শতাংশ বেড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের হার বেশি মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে। ৩০ দিনে সংক্রমণের জেরে ২৩৯ জন মারা গিয়েছেন।
১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ৩.২১ শতাংশ। রাজ্য অনুসারে দেখলে, পঞ্জাবে মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ। মধ্য প্রদেশে ৭.৫৯ শতাংশ এবং দিল্লির ক্ষেত্রে এই হার ১.৪৪ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, করোনা টেস্ট করার হার যে রাজ্যে যত বেশি, সেখানে মৃত্যুর হার তত কম। পঞ্জাবে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে করোনায় মৃতের হার ৮.৩৩। মধ্যপ্রদেশে ৭ হাজার ৪৯টি টেস্ট হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়েছে ৪৩২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লিতে ১১ হাজার ৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মারা গিয়েছেন ১৪ জন। মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
করোনায় ভারতের সব থেকে বেশি মৃত্যুর হার মহারাষ্ট্রে ৭ শতাংশ। সরকারি তথ্য অনুসারে, শনিবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৩০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়েছেন ১,৫৭৪ রোগী।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। এখনও পর্যন্ত ৮,৪১০ টি টেস্ট হয়েছে। করোনার জীবাণু মিলেছে ৯১১ জনের মধ্যে। মারা গিয়েছেন ৮ জন।
উত্তর প্রদেশে ৯ হাজার ৩৩২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত পজিটিভ বেরিয়েছে ৪৩১ টি নমুনা।
কেরালায় ১৩ হাজারের বেশি পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে মৃত্যু হার ০.৫ শতাংশেরও কম।
করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছত্তিসগঢ়। ছত্তিসগঢ়ে আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
কেরালা ও হিমাচল প্রদেশে এই হার যথাক্রমে এক তৃতীয়াংশ ও এক পঞ্চমাংশ।
মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার যথাক্রমে ১২ ও ১০ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশ, বিহার, অসম, ঝাড়খণ্ড ও ত্রিপুরায় এখনও কারও সুস্থ হয়ে ওঠার খবর মেলেনি।