চলতি বছর বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি বেতন বেড়েছে ভারতে। যা ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানির মতো দেশের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এমনই দাবি করা হয়েছে Aon plc-র সমীক্ষায়।
ভারতের ৪০ টির বেশি ক্ষেত্রে ১,৩০০ টি সংস্থায় সেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেই সমীক্ষা থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২০২২ সালে ভারতে বেতন বেড়েছে ১০.৬ শতাংশ। সেখানে জার্মানিতে ৩.৫ শতাংশ, ব্রিটেনে চার শতাংশ, আমেরিকায় ৪.৫ শতাংশ, চিনে ছয় শতাংশ, ব্রাজিল ৫.৬ শতাংশ এবং জাপানে তিন শতাংশ বেতন বেড়েছে।
আরও পড়ুন: SBI Clerk Recruitment 2022: SBI-তে চাকরি হবে প্রায় ৫,৫০০ শূন্যপদে আজকের মধ্যেই করতে হবে এই কাজটা
সেই সমীক্ষা যেমন একদিকে আশা জুগিয়েছে, তেমনই রয়েছে মুদ্রার ওপিঠ। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাক-করোনাভাইরাস মহামারীর আগে ভারতে বেতন বৃদ্ধির হার এক অঙ্কেই আটকে ছিল। তারপর ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। মহামারীর ধাক্কায় ২০২০ সালে বেতন বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছিল ৬.১ শতাংশ। ২০২১ সালে অবস্থা কিছুটা ভালো হয়েছিল। সেইসময় ৯.৩ শতাংশ বেড়েছিল বেতন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেতন বৃদ্ধি
ওই সমীক্ষায় অনুযায়ী, যে পাঁচটি ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি বেতন বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে, তার মধ্যে চারটিই প্রযুক্তি সংক্রান্ত ক্ষেত্র। যে ক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে উত্থান-পতনের মুখে পড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে ই-কমার্স ক্ষেত্রে সর্বাধিক ১২.৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তারপর যথাক্রমে স্টার্ট-আপ (১২.৭ শতাংশ), হাইটেক বা তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত পরিষেবা ক্ষেত্র (১১.৩ শতাংশ) এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (১০.৭ শতাংশ) আছে।
বিষয়টি নিয়ে Aon-এর হিউম্যান ক্যাপিটাল সলিউশনের অধিকর্তা জঙ্গবাহাদুর সিং জানিয়েছেন, বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি বাজারের উত্থান-পতনের উপর নির্ভর করে। বেতন বৃদ্ধির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হল বাজারের উত্থান-পতন। তাই যে ক্ষেত্রকে বাজারের বেশি উত্থান-পতনের ধাক্কা সামলাতে হয়, সেই ক্ষেত্রের কর্মীদের সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: Fake Job Offer: বিদেশ থেকে মোটা বেতনের চাকরির অফার? ফাঁসতে পারেন জালে, সতর্ক করল কেন্দ্র
চাকরি ছাড়ার হার বৃদ্ধি (Attrition Rate)
যে গতিতে কোনও সংস্থার চাকরি ছেড়ে দেন কর্মচারীরা, সেই হারকে Attrition Rate বলে বিবেচনা করা হয়। Aon plc-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম ভাগে Attrition Rate ২০.৩ শতাংশে ঠেকেছে। যা গত বছর ছিল ২১ শথাংশ। তার ফলে বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংস্থার চাপ থাকবে। Aon plc-র তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক মাস সেই প্রবণতা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।