অরুণাচল প্রদেশের ১১ টি জায়গার নাম পালটে দিয়েছিল চিন। সেই নাম খারিজ করে দিল ভারত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নিজের ইচ্ছামতো চিন অরুণাচলের (যে জায়গাকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে চিন) জায়গার নাম পালটে দিলেও সেই সত্যিটা কোনওদিন পালটে যাবে না। কড়া ভাষায় ভারত বলে দিয়েছে, ‘মুখের উপর প্রত্যাখ্যান করছি আমরা।’
মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'এরকম খবর আমরা দেখেছি। প্রথমবার এরকম কাজ করল না চিনে। (চিন যে কাজটা করেছে), সেটা আমরা প্রত্যাখ্যান করে দিচ্ছি।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশে ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ ছিল, অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ আছে এবং অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ আছে। নিজেদের মতো নাম না দিলেই সেই সত্যিটা পালটে যায় না।’
সোমবর চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রবিবার ‘দক্ষিণ তিব্বতের’ যে ১১ টি জায়গার 'সরকারি' নামকরণের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদীর নামকরণ করেছে চিন। সেইসঙ্গে ওই জায়গাগুলির নামের শ্রেণিবিভাগ এবং সেগুলির অন্তর্গত প্রশাসনিক জেলারও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার কী বলেছিল চিন? রবিবার চিনের নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, মন্ত্রিসভার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অরুণাচল প্রদেশের (চিন বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ তিব্বত বলে উল্লেখ করেছে) কয়েকটি ভৌগোলিক এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে চিনা মানচিত্রে অরুণাচলের ওই জায়গাগুলির নাম মান্দারিন হরফে লেখা থাকবে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে চাইনিজ অ্যকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস, ইনস্টিটিউট অফ চাইনিজ বর্ডারল্যান্ড স্টাডিজের ঝ্যাং ইয়ংপ্যান দাবি করেছেন, যে এলাকাগুলির নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলি চিনের 'সার্বভৌমত্বের' মধ্যে পড়ে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)