রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবারই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে আরও বেশি জোর গলায় সরব হওয়া উচিত পাকিস্তানের। জম্ম ও কাশ্মীরের স্টেটাস যাতে বদল না হয়, তার জন্য সব পক্ষকেই পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর জবাবে এবার ভারত বলল, কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টের মন্তব্য অযৌক্তিক এবং দুঃখজনক।
ভোলকানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'পাকিস্তানে সফরকালে রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভোলকান বজকিরের কাশ্মীর নিয়ে করা এই অযৌক্তিক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা। ভোলকান বলেছেন যে পাকিস্তানের উচিত কাশ্মীর ইস্যু রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করা, এই মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।'
এর আগে কাশ্মীরের পরিস্থিতির সঙ্গে প্যালেস্তাইনের তুলনা টেনেছিলেন ভোলকান। যা ভালো চোখে দেখেনি ভারত। ইসলামাবাদে পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে এক বৈঠকের পরে কাশ্মীর নিয়ে এহেন আলটপকা মন্তব্য করে বসেন ভোলকান বজকির। রাষ্ট্রসংঘের এই পদে বসার আগে বজকির তুর্কি কূটনীতিবিদ ছিলেন। ইসলামাবাদে বজকির পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও দেখা করেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। যার জেরে সৌদি নেতৃত্বাধীন ওআইসি-তে কিছুটা গুরুত্ব কমেছে পাকিস্তানের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে ইসলামাবাদের।
ভোলকান বজকির বলেন, 'রষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির নিরপেক্ষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই কাশ্মীর ইস্যুটি রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের দ্বারা পরিচালিত। ভরত ও পাকিস্তান ১৯৭২ সালে শিমলা চুক্তি সে কথা মেনে নিয়েছে।'
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরকে দুই ভাগে ভাগ করে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেয়। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। যদিও ভারত এই বিষয়টিকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে দাবি করে এসেছে।