ভারতে 'সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘন' নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকা, তা খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাষায় জানানো হয়েছে, ওই রিপোর্টে যে সব দাবি করা হয়েছে, তা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক। তবে সেই রিপোর্টের জন্য সার্বিকভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি। বরং একেবারে স্পষ্টভাবে ভারত জানিয়েছে, কয়েকজন মার্কিন আধিকারিকের এরকম পক্ষপাতমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা ধাক্কা খায়।
সোমবার ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা’ (২০২২ সাল) রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক। ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার চালানোর অনেক ঘটনা’-র উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি উৎসবের সময় হিন্দুদের আহত করার অভিযোগে চার মুসলিম পুরুষকে মারধর করেছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। তার আগে এপ্রিলে হিংসার কারণে মধ্যপ্রদেশ সরকার বুলডোজার দিয়ে মুসলিমদের মালিকাধীন বাড়ি এবং দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। আবার জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে খ্রিস্টানদের গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
যদিও সেই রিপোর্ট পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার একেবারে কড়া ভাষায় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে এরকম রিপোর্টগুলি ভুল তথ্য এবং ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়ে যেতে থাকে।’
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘কয়েকজন মার্কিন আধিকারিকের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক মন্তব্যের ফলে এরকম রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমে যায়। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে, সেটার উপর আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। যে যে বিষয়গুলি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা চালিয়ে যাব আমরা।’
এমনিতে ২০২২ সালে ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা’ সংক্রান্ত ওই রিপোর্ট এমন একটা সময় প্রকাশিত হয়েছে, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে আমেরিকায় প্রস্তুতি চলছে (২০২১ সালের রিপোর্টও খারিজ করে দিয়েছিল ভারত)। আগামী ২২ জুন আমেরিকায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
আরও পড়ুন: Modi on Democracy: 'ভারত গণতন্ত্রের আসল জননী', বাইডেনের সঙ্গে হাইভোল্টেজ সামিটে বার্তা মোদীর
সেই সফর নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় সরকারের সদস্যদের আপ্যায়ন করতে মুখিয়ে আছি আমরা। কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না আমি। ভারতের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে মুখিয়ে আছি আমরা।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)