তুল্যমূল্য বিচার করলে এই মুহূর্তে করোনা কেস লোডের নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে খারাপ অবস্থায় ভারত। যদি এই ট্রেন্ড অব্যাহত থাকে, তাহলে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে ভারতে করোনা কেসের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
যেভাবে দেশে কেস লোড বাড়ছে, সেটা যদি আরও বেড়ে যায়, সেই নিয়ে চিন্তায় নীতি নির্ধারকরা। দেশের জনসংখ্যা ও ভৌগলিক পরিসীমার কথা মাথায় রেখে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে মৃত্যু হার ও সুস্থতার হার, এই দুটি মাপকাঠিতে ভারত অন্য দুই দেশের থেকে ভালো স্থানে আছে, যেটা ইতিবাচক।
জুন মাসের ৭ তারিখ আমেরিকায় কুড়ি লক্ষ কেস হয়েছিস। তখন ৬০.২ দিনে কেস দ্বিগুণ হচ্ছিল। ব্রাজিলের ক্ষেত্রে কেস দ্বিগুণ হচ্ছিল ৩৫.৭ দিনে। অন্যদিকে ভারতে ২২.৭ দিনে কেস দ্বিগুণ হচ্ছে।
জুলাই ১৬ তারিখে ব্রাজিলে মোট কেসের সংখ্যা ২০ লক্ষ হয়। সেই দিনই ভারতে কেস দশ লক্ষ হয়। সেখান থেকে এখন ভারতে দশ লক্ষ কেস হলেও ব্রাজিলে সাড়ে আট লক্ষ কেস হয়েছে। অঙ্ক বলছে পরের দশ লক্ষ কেস ভারতে দুই সপ্তাহে হতে পারে।
যখন আমেরিকায় কুড়ি লক্ষ কেস ছিল, ৫৫.২ শতাংশ অ্যাক্টিভ কেস ছিল। ভারতে এই মুহূর্তে ২৯.২ অ্যাক্টিভ কেস আছে। সেই মুহূর্তে ব্রাজিলে ২৮.৩৪ শতাংশ ছিল। এই মুহূর্তে আমেরিকায় অ্যাক্টিভ ৪৫.৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে ২৬.১ শতাংশ।
ভারতে মৃত্যুহার ২.১ শতাংশ যেটি বিশ্বজনীন গড় ৩.৭৫ শতাংশের চেয়ে অনেক কম। ব্রাজিলের মৃত্যুহার ৩.৮১ শতাংশ ও আমেেরিকার ৫.৭২ শতাংশ ছিল, ২০ লক্ষ কেসের সময়।
সব মিলিয়ে কিছু কিছু মাপকাঠিতে স্বস্তির অবকাশ থাকলেও যেভাবে মফস্বল ও গ্রামীণ এলাকায় কেস ছড়াচ্ছে, সেই নিয়ে চিন্তিত থাকবে কেন্দ্র। সঠিক চিকিৎসার সুযোগ নেই তেমন জায়গায় করোনা হলে দ্রুত বাড়তে পারে মৃত্যুহার।
আপাতত করোনা প্রতিষেধকের জন্য অপেক্ষা ও আশা যে কিছুটা হলেও সংক্রমণের গতি কমবে আগামী দিনে।