আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে বলে জানিয়েছে সরকারি কমিটি। তার পরদিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন, সঠিকভাবে করোনা সুরক্ষা বিধি পালন করলে সেই সময় দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪০,০০০।
তিনি জানান, বিজ্ঞানীদের অনুমানের ভিত্তিতে সেই পরিসংখ্যান দিয়েছেন। হর্ষবর্ধনকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, 'করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনুমানের জন্য বিশ্বের বিজ্ঞানীদের সাহায্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। তাঁদের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে যে গবেষণা চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে তিন-চার মাস ঠিকভাবে কোভিড সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনে চললে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪০,০০০।'
হর্ষবর্ধনের মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪৮,৫৩৮। নয়া সংক্রমণের গ্রাফও নিম্নমুখী। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ভারতে ৪৬,৭৯০ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা গত তিন মাসে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সর্বনিম্ন। একইসঙ্গে সুস্থতার হার বেড়ে ৮৯ শতাংশ ছুঁইছুঁই। সেই আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির মধ্যেও উৎসবের মরশুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতার অভাব দেখা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও হর্ষবর্ধনের আশা, দেশবাসী যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। তিনি বলেন, 'আমাদের বিশ্বাস, ভারত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেবে না এবং আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেবে। আমরা যা দেখছি, তা বজায় রাখা হবে।'
এদিকে করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে জোরকদমে বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে বলে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন, কীভাবে টিকা দেওয়া হবে, যাঁরা টিকা দেবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে এখনও সমন্বয় তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, 'যখন সময় আসবে তখন টিকাকরণের প্রক্রিয়া, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য রসদ নিয়ে রাজ্যে ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।'
মঙ্গলবারই আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী দাবি করেছেন, আপাতত ভারতের হাতে কোনও করোনা টিকা না থাকলেও বণ্টন, প্রয়োগ-সহ যাবতীয় প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখা হচ্ছে না। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, 'করোনার টিকা যখনই আসবে, তা যত দ্রুত সম্ভব কীভাবে প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে পৌঁছায়, তার জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেক নাগরিকের কাছে টিকা পৌঁছানোর জন্য দ্রুত গতিতে কাজ করা হচ্ছে।'