গমের রপ্তানির পথ ইতিমধ্যেই আপাতত রুদ্ধ করে দেশের চাহিদার বাজারের দিকে তাকিয়েছে কেন্দ্র। তারই মাঝে উঠে আসছে ভয়াবহ পরিসংখ্য়ান। এদিকে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতে যা গম মজুত রয়েছে তা ১৩ বছরে সর্বনিম্ন (২০১৬-১৭ সাল বাদি দিলে)। এরফলে সরকারি খাদ্য প্রকল্পে গমের সরবরাহ ঘিরেও দেখা দিচ্ছে প্রশ্ন চিহ্ন। পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, সরকারের তরফে গমের ক্রয়ে ১৫ বছরে সর্বনিম্ন অঙ্ক সামনে এসেছে।
গমের মজুতের অঙ্ক ঘিরে উঠতে শুরু করছে একাধিক প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে সরকারি খাদ্য প্রকল্পের আওতায় গম পাওয়া নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নেও উঠছে 'ঝুঁকি'র প্রসঙ্গ। যদিও কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রকল্পের অধীনে জনমানসে সরবরাহের ক্ষেত্রে গম মজুতের অঙ্ক কোনওভাবেই প্রভাব ফেলবে না। তা সঠিক গতিতে সরবরাহ হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে চাহিদা ও যোগান প্রায় কাছাকাছি থাকবে। গমের রপ্তানি নিষিদ্ধ হতেই গ্রাহক স্ফীতিতে উর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে। যা গত আট বছরে ৭.৭৯ বেশি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.৩৮ শতাংশ ছুঁয়েছে। খাদ্যশস্যের মূল্যস্ফীতি মোটামুটি বেশি ছিল প্রায় ৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, এই বছরের মার্চ মাসেই রেকর্ড রপ্তানি দেখা গিয়েছে বিক্রয়ের বাজারে। সেই জায়গা থেকে ফের কবে ভারত গম রপ্তানি করতে পারবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 'ভুল' ট্রেনে উঠে পড়েছেন জেনে চলন্ত ট্রেন থেকে সন্তান নিয়ে 'ঝুঁকি-ঝাঁপ' মহিলার!
গত বছর ভারতে গমের মজুতের পরিমাণ শুরুর দিকে ছিল ২৭.৩ মিলিয়ন টন, যা এই বছর ১৯ মিলিয়নে নেমেছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে গম ক্রয়ে সরকারের তরফেও রয়েছে কমতি। ওদিকে ভারতের খাদ্য প্রকল্পের হিসাব অনুযায়ী সরকারি খাদ্য প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ২৬ মিলিয়ন টন গম। 'প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্য়াণ অন্ন যোজনা' যা কোভিডকালে কেন্দ্রের তরফে চালু করা হয়, তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলার কথা। আর তাতে ১০ মিলিয়ন গমের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে খোলা বাজারে গমের বিক্রয়ের দিকটিও নজরে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত আর্থিক বছরে মার্চ থেকে রেকর্ড ৭.৮৫ মিলিয়ন টন রপ্তানি করেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ২৭৫ শতাংশ বেশি। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে, দেশটি ইতিমধ্যেই ৪.৫ মিলিয়ন টন রপ্তানির চুক্তি করেছে, কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গমের বাজারে বিশ্ব জুড়ে যে চাহিদা ছিল তাতে ব্যবসায়িক সাফল্য নিতে তৎপর ছিল দিল্লি। তবে আপাতত যা মজুতের অঙ্ক, তাতে সেই সাফল্য ফের একবার কবে থেকে দেখা যাবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।