রাষ্ট্রপুঞ্জে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অংশ নিলনা ভারত। যদিও চলতি মাসের শুরুতে এ বিষয়ে ভারতের সাহায্য প্রার্থনা করেছিল শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কায় তামিলদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। গত ১২ মার্চ কানাডা, ব্রিটেন, জার্মানি-সহ UNHRC(রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ)-র একাধিক সদস্য দেশ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই খসড়া প্রস্তাব পেশ করে। সেখানে বলা হয় ১৯৮৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার এলটিটিই (র্যন্ত গৃহযুদ্ধে নিহত হন ৮০ হাজারেরও বেশি এলটিটিই (লিবারেশন টাইগার্স অব তামিন ইলম)জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল। রাষ্ট্রপুঞ্জে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা গৃহযুদ্ধকালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ। দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বলিভিয়া, চিন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সোমালিয়া, উজবেকিস্তান ও ভেনিজুয়েলা।
প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ২২টি দেশ। অন্যদিকে ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল ভারতসহ ১৪টি দেশ।
যদিও ওয়াকিবহাল মহলের খবর, গত ১৩ মার্চ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করে শ্রীলঙ্কা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে বৈঠক করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। তবে, ভারতের সমর্থন পেতেই রাজাপক্ষে তড়িঘড়ি ফোন করেছেন, এমনটাই মনে করেছিলেন অনেকে।