শুক্রবার ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোয়াড সম্মেলনে অংশ নেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা। তবে এই বৈঠকের আগেই চিনের তরফ থেকে এই জোটকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। এদিকে ফের একবার গালওয়ানের ঘটনায় ভারতকে দোষারোপ করে চিন। চিনের দাবি, নয়া দিল্লি সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। চিনের এহেন ভিত্তিহীন অভিযোগের পালটা জবাব দিল ভারত। স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়, চিনের 'উস্কানিমূলক আচরণে'র কারণেই গালওয়ান সংঘর্ষ হয়েছিল।
২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান সীমান্তে লোহার রড ও তার প্যাঁচানো মুগুর নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। সেই সময় ভারতীয় জওয়ানরা বীরত্বের সঙ্গে সীমান্ত রক্ষা করে। সেই ঘটনায় শহিদ হন প্রায় ২০ জন সৈনিক। প্রায় ৪০ চিনা সেনাও হতাহত হয় সংঘর্ষে। এনিয়ে চিনের বিরুদ্ধে সীমান্তে আগ্রাসনের অভিযোগ উঠলেও বেজিংয়ের তরফে বরাবর এই ঘটনার দায় ভারতের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা হয়ে এসেছে।
এদিকে কোয়াড নিয়ে নাখুশ চিন। এই বিষয়ে বেজিংয়ের বক্তব্য, 'কোয়াড জোটবাজি যেন কোনও দেশের ক্ষতির স্বার্থে না হয়ে থাকে। অন্য দেশের স্বার্থ এর দ্বারা যাতে আঘাত প্রাপ্ত না হয়।' কোয়াডের বিষয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়, 'চিন সবসময় বিশ্বাস করে যে, কোনও আঞ্চলিক সমন্বয় শক্তির কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করা বা তাঁর স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করা উচিত নয়। সময়ের বিপরীতে গিয়ে কোনও দেশের বিরুদ্ধে কোনও আঞ্চলিক শক্তির একচেটিয়া জোটকে কেউ সমর্থন করবে না। চিন বিশ্ব শান্তির প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার এবং বিশ্বব্যবস্থার রক্ষক।'