বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করে ভারত: জয়শংকর

রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করে ভারত: জয়শংকর

ফাইল ছবি (এডিটেড) : রয়টার্স (Reuters)

তাজিকিস্তানে চলমান ‘হার্ট অব এশিয়া’ সম্মেলনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শংকর।

আফগানিস্তানে ফিরুক শান্তি। সেই উদ্দেশ্যেই আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। আর এই প্রস্তাবে সমর্থন রয়েছে ভারতের। মঙ্গলবার এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

তাজিকিস্তানে চলমান ‘হার্ট অব এশিয়া’ সম্মেলনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শংকর। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। যোগ দিয়েছে ১৫টি দেশ। ভারত ছাড়াও সদস্যদের তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, ইরান, কাজাখিস্তান, কিরঘিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, আজারবাইজান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই প্রথম নিজের অবস্থান প্রকাশ করল ভারত। মঙ্গলবারের আলোচনায় জয়শংকর বলেন, 'আগানিস্তানে শান্তি কোনও একমুখী প্রক্রিয়া নয়।' এর জন্য 'দ্বৈত শান্তি' প্রয়োজন, বলেন বিদেশমন্ত্রী। এর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'আফগানিস্তানের দেশের মধ্যে এবং তার চারপাশের দেশে- দুই ক্ষেত্রে শান্তি আনার চেষ্টা করতে হবে। তবেই কাজ হবে।'

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে সওয়াল করেন। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চিঠিতে এই প্রস্তাব দেন অ্যান্টনি।

এদিনের আলোচনায় জয়শংকর বলেন, 'যেকোনও রাজনৈতিক সমঝোতা ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিকে ভারত সমর্থন করে।' আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থা। হিংসামূলক ঘটনা, রক্তক্ষয় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তানে। সংঘাতের পরিবেশে থিতু হওয়ারও কোনও লক্ষণ নেই।'

গত কয়েক মাসে আফগানিস্তানে সাধারণ নাগরিকদের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণের সংখ্যা এক ধাক্কায় আরও বেড়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে তার আগের বছরের তুলনায় ৪৫% বেশি সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২১ সালের শুরু থেকেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি।

গত এক বছরে বেড়েছে সাধারণ নাগরিকের উপর হামলার ঘটনা। পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানে। ফাইল ছবি : রয়টার্স
গত এক বছরে বেড়েছে সাধারণ নাগরিকের উপর হামলার ঘটনা। পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানে। ফাইল ছবি : রয়টার্স (Reuters)

আফগানিস্তানে হিংসার অন্যতম বড় কারণ বহিরাগত আতঙ্কবাদীদের উপস্থিতি। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী আফগানিস্তানে ৬,৫০০ পাকিস্তানি জঙ্গি রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের সদস্যরা। ফলে, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে আশেপাশের দেশ দেখে জঙ্গি প্রবেশ রোধ করতে হবে। তবেই ফিরবে শান্তি।

বন্ধ করুন