রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে নেতৃত্ব দিতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তি।
শুক্রবার টি এস তিরুমূর্তি টুইট করেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির নেতৃত্ব দিতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এগুলি হল তালিবান অনুমোদন কমিটি, সন্ত্রাস দমন কমিটি (২০২২ সালের জন্য) এবং লিবিয়া অনুমোদন কমিটি।’
সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে অষ্টম পর্ব শুরু করেছে ভারত, যেখানে তার মূল লক্ষ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো, উন্নয়নশীল বিশ্বের পক্ষে সওয়াল করা এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মানব-ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট সমাধানের সন্ধান করা।
তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, ভরতের নজরে তালিবান অনুমোদন কমিটি বরাবরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জেরে সম্প্রতি আফগানিস্তানে শান্তি নষ্ট করার উদ্দেশে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের মদতকারীদের উপরে কড়া নজর রাখা সম্ভব হবে। এই কমিটিকে ১৯৮৮ অনুমোদন কমিটি নামেও চিহ্নিত করা হয়।
লিবিয়া অনুমোদন কমিটি নিরাপত্তা পরিষদের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধীনস্থ সংগঠন, যা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিরূপণ করে। এই কমিটির কাজের আওতায় রয়েছে লিবিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রর উপরে জারি করা দুই স্তরের নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নীতি, পর্যটনের উপরে নিষেধাজ্ঞা এবং অবৈধ উপায়ে পেট্রোল আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা।
২০২২ সালে সন্ত্রাস দমন কমিটির নেতৃত্ব দেওয়ার ভারও পড়েছে ভারতের উপরে। ওই বছরেই ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা বার্ষিকী। ৯/১১ নিউ ইয়র্ক সন্ত্রাস হামলার পরেই ২০০১ সালে এই কমিটি গঠন করা হয়। ২০১১-১২ সালে নিরাপত্তা পরিষদে এই কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারত। তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, ‘এই কমিটির নেতৃত্ব দান করা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সীমান্ত-সহ সন্ত্রাস দমনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভারতের যেমন আছে, তেমনই তার অন্যতম বৃহত্তম শিকারও হয়েছে আমাদের দেশ।’
গত জুনা মাসে ১৯২টির মধ্যে ১৮৪টি ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পর্ষদে অষ্টম বার অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচিত হয় ভারত। এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫ এবং ১৯৯১-৯২ সালে পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল দেশ।