শর্তসাপেক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালুর অনুমতি দিল কেন্দ্র। তবে ‘ঝুঁকির মুখে’ থাকা দেশগুলি থেকে কত শতাংশ যাত্রী নিয়ে বিমান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিবেচনা করা হবে। সেই দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বাড়তি বিধিনিষেধও থাকবে।
করোনাভাইরাসের জেরে গত বছরের ২৩ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল ভারত। পরে জুলাই থেকে প্রায় ২৮ টি দেশে বিশেষ বিমান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখনও সেভাবেই আন্তর্জাতিক বিমান চলছে। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে স্বাভাবিক উড়ান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা এবং পর্যালোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার।
কী কী শর্ত থাকছে?
১) যে দেশগুলিকে ‘ঝুঁকির মুখে’ তালিকায় রাখা হয়নি, দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে সেই দেশগুলি থেকে ১০০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ভারতে আসা যাবে। ভারত থেকেও ১০০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সেই দেশগুলিতে বিমান পরিষেবা শুরু করতে পারবে উড়ান সংস্থাগুলি।
২) ‘ঝুঁকির মুখে’ এবং এয়ার বাবল থাকা দেশ: দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভারতীয় বা বিদেশি বিমানের ৭৫ শতাংশ যাত্রী বা প্রাক-করোনাভাইরাস কালের যাত্রী সংখ্যা - যা বেশি হবে, সেই সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিষেবা শুরু করা যাবে। সপ্তাহে কমপক্ষে সাতটি বিমানকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
৩) ‘ঝুঁকির মুখে’ এবং এয়ার বাবল থাকা দেশ: দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভারতীয় বা বিদেশি বিমানের ৫০ শতাংশ যাত্রী বা প্রাক-করোনাভাইরাস কালের যাত্রী সংখ্যা - যা বেশি হবে, সেই সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিষেবা শুরু করা যাবে।
আপাতত কোন কোন দেশ ‘ঝুঁকির মুখে’ আছে?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশগুলি হল - ব্রিটেন বাদে ইউরোপের সমস্ত দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বত্সোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং ইজরায়েল।