কোভ্যাক্স উদ্যোগের সৌজন্যে পাকিস্তানকে ১.৭০ কোটি কোভিড ভ্যাক্সিন উপহার দিচ্ছে ভারত। এর জেরে পড়শি দেশে অচিরেই চালু হতে চলেছে টিকাকরণ কর্মসূচি।
পাকিস্তানকে বিনামূল্যে ৫ কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাক্সিন পাঠাচ্ছে চিন। ভ্যাক্সিন আনতে চিনে বিশেষ বিমানও পাঠিয়েছে পাক প্রশাসন। কিন্তু তার জেরে কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। ইতিমধ্যে ভারতথেকে উপহার হিসেবে ভ্যাক্সিনের ডোজ আসার খবরে স্বভাবতই খুশি ইমরান খান সরকার।
পাকিস্তানে প্রথম কোভিড ভ্যাক্সিন হিসাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা সরবরাহের পরিকল্পনা করেছিল দিল্লি। কিন্তু টিকা কেনার পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে টিকা পাওয়ার আবেদন জানানোয় অস্বস্তি দেখা দেওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ে ইমরান সরকার। উপায় না দেখে শেষে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকারের থেকে টিকা কেনার কৌশল ঠাওরায় পাক প্রশাসন।
এরই মধ্যে গত রবিবার ইমরান খান মন্ত্রিসভার বিশেষ সহায়ক (স্বাস্থ্য) ডক্টর ফয়জল সুলতান ঘোষণা করেন, ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাক্সিন পেতে চলেছে পাকিস্তান। তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে মার্চ মাসের মধ্যে ৬০ লাখ ডোজ টিকা পাকিস্তানে পৌঁছে দেবে ভারত। বাকি টিকা পৌঁছবে জুন মাসের মধ্যে। কোভ্যাক্স উদ্যোগের জেরেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভারত টিকা পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুলতান।
টুইটারে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘জেনে আননব্দ হচ্ছে যে সিনোফার্মা (চিনের ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী সংস্থা) থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রাপ্য ৫ লাখ ডোজ টিকা প্রাপ্তির পরে প্রথম ত্রৈমাসিকে ৭০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে। এই টিকা মানুষকে বিমামূল্যে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে পাকিস্তানে টিকাকরণ কর্মসূচিচালু হবে। সবার আগে টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীরা।’
GAVI ও এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (CEPI) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মধ্যে করা চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলিতে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করা হবে। কোভ্যাক্স উদ্যোগের জেরে সব দেশে যথাসময়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাক্সিন পৌঁছে দেওয়া হবে। পাকিস্তানে ২০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়া হবে।। কিন্তু অবশিষ্ট ৮০% নাগরিকের টিকার ব্যবস্থা কী ভাবে করবে ইমরান খান সরকার, তা এখনও স্পষ্ট নয়।