লাদাখ সীমান্ত দিয়ে এখনও পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করে নেয়নি চিন।দ্রুত যাতে সেই সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, এবার চিনের কাছে সেই দাবি জানাল ভারত।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, লাদাখের বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখলে দুই দেশের কারোর স্বার্থই চরিতার্থ হবে না।ভারত আশা করে, চিন দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য এগিয়ে আসবে। জানা যাচ্ছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কথা হয়।সেই কথোপকথনে অবশ্য লাদাখ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাকি জায়গাগুলি থেকে সেনা সরানো নিয়ে কোনও ঐক্যমত্যে পৌঁছোতে পারেনি তাঁরা।এখনও পর্যন্ত প্যাংগঙ লেকে উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন। তবে লাদাখ সীমান্তের অন্যান্য এলাকা থেকে অবশ্য এখনও সেনা সরানো হয়নি।এদিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্যাংগঙ লেক থেকে যে চিন সেনা সরিয়ে নিয়েছে, এটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ।এই পদক্ষেপই অবশ্য ভবিষ্যতে লাদাখ সীমান্ত সমস্যার পুরোপুরি সমাধানে সাহায্য করবে।ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী স্তরে দুই দেশের মধ্যে বাকি এলাকার সমস্যা সমাধানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক স্তরে এই বিষয়ে আলোচনা জারি থাকবে।
ভারত ও চিনের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞ সমীর পাটিল জানান, ভারত–চিন উভয়ের কাছ থেকেই এই বিষয়ে আরো পদক্ষেপ আশা করেছিলাম।চিন এখন কী ভাবছে সেটা বোঝা দরকার।প্যাংগঙ লেক থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী সেটা চিন ভালভাবে বুঝে নিতে চায়।এটা কী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত সমস্যা সমাধানের একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখছে নাকি পিছিয়ে আসার কৌশল হিসাবে দেখছে, সেটা বেজিং বুঝে নিতে চায়।কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া কোয়াড সামিটকে চিন মোটেও ভালো চোখে দেখেনি।এই বিষয়ে ভারতের কাছে উষ্মাও প্রকাশ করেছিল চিন।লাদাখ সমস্যা সমাধানে এই বিষয়টিও বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করছে।উল্লেখ্য, ওই সামিটে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান অংশ নিয়েছিল।