দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। বারংবার শান্তির বার্তা দিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদী বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’ তবে তা সত্ত্বেও হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এই আবহে এবার ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে (ডনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপোরিজিয়া) অবৈধ ভাবে রাশিয়া ‘দখল’ করে নেয়। সেখানে গণভোট করিয়ে নিজের দেশের সঙ্গে সেই অঞ্চলগুলি যুক্ত করেন পুতিন। সেই সংযুক্তিকরণের বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছিল আলবেনিয়া। রাশিয়া সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গোপন ব্যালটে ভোটাভুটির দাবি জানায়। তবে রাশিয়ার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে গোপন ব্যালটের বিরুদ্ধেই ভোট দেয় ভারত। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ায় দাঁড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘যে ভাবে নিরীহ মানুষের প্রাণ নেওয়া হচ্ছে এবং শহুরে অঞ্চলকে নিশানা করা হচ্ছে, তা বিশ্বের কেউই মেনে নেবে না।’
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ১৯৩ সদস্যের মধ্যে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ১৩টি দেশ। রাশিয়া নিজেও নিজের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি। রাশিয়া এবং চিন ভোটদান থেকে বিরত থাকে। পাশাপাশি আরও ৩৭টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এদিকে ১০৭টি দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়। এর আগে কিয়েভে রাশিয়ার মিসাইল হামলা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারত অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে। আলোচনার মাধ্যমেই দুই দেশের সমস্যা মেটানো উচিত।’