সম্প্রতি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। অপরদিকে বিগত দিনে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কিছুটা নিম্নমুখী থেকেছে। তবে প্রতিবেশী দুই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ফারাকটা জানলে মুখ হাঁ হয়ে যেতে পারে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.২০ বিলিয়ন ডলার। যদিও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের দাবি, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এখন ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকা এলেই এই রিজার্ভ আরও প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে। (আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ পুলিশের! একদিনেই চিহ্নিত ২০ অনুপ্রবেশকারী)
আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!
এদিকে বাংলাদেশের তুলনায় স্বভাবতই ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ অনেক গুণ বেশি। অপরদিকে ভারতের অপর প্রতিবেশী পাকিস্তানের অবস্থা বাংলাদেশের থেকে শোচনীয়। গত ৬ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র ১২.০৫ বিলিয়ন ডলার। আর নভেম্বর শেষে ভারতের পকেটে ছিল ৬৫৮.০৯ বিলিয়ন ডলার। যা কি না বাংলাদেশের থেকে ৩৪ গুণ (আইএমএফের হিসেব ধরলে)। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সর্বকালীন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময় ভারতের পকেটে ছিল ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার। তবে তারপর থেকে ক্রমেই কমতে শুরু করেছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১.৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর জেরে সেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে। আর গত এক মাসে ফের রেমিট্যান্স ও রফতানির ফলে বেড়েছে বৈদেশিক রিজার্ভ। এর মধ্যে অবশ্য বাংলাদেশের মোট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হল ১৪ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই নিরিখে বাংলাদেশ এখন কোনও ভাবে বর্ডারলাইনের ওপরে আছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসিনা জমানায় দু'বার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। আর ইউনুস জমানাতে তা কোনও ক্রমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের গণ্ডি পার করল ফের।
এর আগে ২০২৩ সালে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সম্মিলিত ভআবে বেড়েছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগে অবশ্য ২০২২ সালে তা ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছিল। বর্তমানে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে 'ফরেন কারেন্সি অ্যাসেট' বাবদ আছে ৫৬৮.৮৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ভারতের পকেটে এখন সোনার রিজার্ভ আছে ৬৬.৯৭৯ বিলিয়ন ডলারের।