শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেই ভারতে এসেছিলেন ৪ দিনের সফরে। তাঁর মুখে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক কথা শোনা গিয়েছে। বিক্রম দোরাইস্বামী, যিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত আছেন ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে তিনি এবার শোনালেন আরও একটি সুখবর। ভারত বাংলাদেশ দিয়ে আরও একটি ট্রানজিট রুট চাইছে, যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হয়ে মেঘালয়ে যাওয়া যায়। এই নতুন রুট এভাবেই নির্মাণ করা হবে।
আর কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রম দোরাইস্বামী পদত্যাগ করতে চলেছেন। তার আগেই তিনি এমন কথা শোনালেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার যে পণ্য পরিবহনের রুট আছে সেটা শিলিগুড়ি হয়ে উত্তর ভারতে যায়। কিন্তু এই পথে তেমন পণ্য পরিবহন করা যায় না। তবে ভারত এখন চাইছে পণ্য পরিবহন বাড়াতে। তাই নতুন রুট চাইছে ভারত। এই নতুন ট্রানজিট রুট তৈরি হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। মেঘালয় অবধি এই রুট বিস্তৃত হবে।
নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার মধ্যে ৬ সেপ্টেম্বর যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হয়েছিল সেখানেই ভারতের তরফের বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের হিলি হয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ অবধি মহাসড়ক তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব পাওয়ার পর বাংলাদেশের তরফে ভারতকে বলা হয় ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড মহাসড়ক প্রকল্পের অংশীদার হওয়ার কথা।
বিক্রম দোরাইস্বামী জানান বাংলাদেশের উত্তর ভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত নয়। বরং সেই তুলনায় এই দেশের উত্তর দক্ষিণ অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভালো। বাংলাদেশের সরকারের তরফে এই নতুন রুট তৈরি করার জন্য সেরা যাচাই করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই নতুন রুট নির্মাণ করা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ ব্যাপার কারণ এতে যমুনার উপর প্রায় ১৩ কিলোমিটারের একটি সেতু তৈরি করতে হবে। এছাড়াও এই দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে সেখানে কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। হাসিনার এবার ভারত সফর সফল বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ওপার বাংলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তিনি ভারত থেকে খালি হাতে ফেরেননি। তিনি জানিয়েছেন যে ভারতের তরফে জ্বালানি পরিবহনের জন্য পাইপলাইন তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।