গত সপ্তাহে টেন্ডার সংক্রান্ত নয়া নিয়ম প্রকাশ করে ভারত। কার্যত চিনা সংস্থারা যাতে লগ্নি না করতে পারে, তার পথ বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে। সেই কারণেই চিনকে চাপে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। কিন্তু চিনা সংস্থা থাকলেই সেই বিডিং প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া হবে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে সরকারি সূত্র।
দুই বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান এরকম সব টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করলে অনেক সময় চলে যাবে। ২৩ জুলাই সরকার বলে যে সব দেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে ভারতের, সেখানকার সংস্থাদের ভারতে লগ্নি করার জন্য স্বরাষ্ট্র ও বিদেশমন্ত্রকের ছাড়পত্র লাগবে, নথিভুক্ত হতে হবে ভারতে। তবে যে সব দেশকে ভারত সাহায্য করে সেগুলিকে এর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ম যে সব টেন্ডার ডাকা হয়েছে কিন্তু এখনও দেওয়া হয়নি তার জন্যেও ধার্য হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এর পরেই কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
কিন্তু সরকারি সূত্রে যেটা জানা যাচ্ছে টেন্ডার প্রক্রিয়া তখনই বাতিল করা হবে যখন চিনা সংস্থাটি সবচেয়ে কম দামের বিড দেয় ও টেকনিকালিও কোয়ালিফাইড হয়। এই সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ ইতিমধ্যই সব মন্ত্রক, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ও রাজ্য সরকারদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এক সরকারি আধিকারিক জানান। আরেক আধিকারিক বলেন মোদ্দা কথা হল চিনা সংস্থা থাকলেই টেন্ডার বাতিল করার দরকার নেই। শুক্রবার এই সংক্রান্ত সাফাই দেয় অর্থমন্ত্রক বিভিন্ন জায়গা থেকে এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর।