২০১৮ সালের পর থেকে ২০২১ সালে সবথেকে কম জঙ্গি হামলা বা নাশকতা হয়েছে ভারতে। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে নাশকতার ঘটনা ১৬ শতাংশ কম ঘটেছে ভারতে। এমনই দাবি করা হল মার্কিন রিপোর্টে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশ্লেষণ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতে মোট ৫৭২টি নাশকতার ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালে ভারতে জঙ্গি নাশকতায় ৫৩৬ জন মারা গিয়েছে। গোটা বিশ্বে জঙ্গি হামলায় মৃতের নিরিখে এই সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ। মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে জঙ্গি হামলায় ২৩ হাজার ৬৯২ জন মারা গিয়েছিল ২০২১ সালে। (আরও পড়ুন: চিন সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হবে দেশের সর্ববৃহৎ বাঁধ, অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানুন বিশদ)
মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতে হওয়া জঙ্গি হামলার ৩৯ শতাংশ মাওবাদীদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল হিজবুল মুজাহিদিন। মোট জঙ্গি হামলার ১২ শতাংশ চালিয়েছে হিজবুল। এরপরই তালিকায় রয়েছে পাক ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবা। তারা ভারতে ৫০টি জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। যা মোট জঙ্গি কার্যকলাপের ৯ শতাংশ। 'কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১: ইন্ডিয়া' শীর্ষক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সরকার সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কার্যক্রম শনাক্ত করে তা ব্যাহত করতে এবং জঙ্গিদের খতম করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি এবং মধ্য ভারতের কিছু অংশকে প্রভাবিত করেছিল সন্ত্রাসবাদ। লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আইএসআইএস, আল-কায়েদা, জামাত-উল-মুজাহিদিন এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের মতো সংগঠন ভারতে সক্রিয় রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতে সন্ত্রাসীদের হামলার কৌশলে একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয়েছে। তারা আম জনতার ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোন ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটাতে সচেষ্ট হয়েছে। আইইডি হামলার সংখ্যা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ১৫৩টি সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। হামলায় ২৭৪ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪৫ জন নিরাপত্তা কর্মী, ৩৬ জন সাধারণ নাগরিক এবং ১৯৩ জন সন্ত্রাসী। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গি হামলার সংখ্যার নিরিখে ভারত শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে। তবে জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যার নিরিখে প্রথম দশে নেই ভারত। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে জঙ্গি হামলার সংখ্যা কমেছে ১৬ শতাংশ, মৃত্যুর নিরিখে ৫ শতাংশ হ্রাস হয় ২০২১ সালে।