তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দশকের আলোচনা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে এরই মাঝে এবার গুরুত্বপূর্ণ এক নদীর জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত-বাংলাদেশের। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আজকে এই বিষয়ে বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়। উভয় দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।’ (আরও পড়ুন: ‘চেষ্টা করলাম হিন্দিতে বলতে’, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান না ভোলার বার্তা হাসিনার)
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বন্যা প্রশমনে একে অপরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের সাথে বন্যা সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম ডেটা শেয়ার করছি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছি। এটা অপরিহার্য। আমরা একসাথে সেই শক্তির মোকাবিলা করি যারা আমাদের প্রতিপক্ষ।’ মোদী-হাসিনা আরও বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ও পারমাণবিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়েও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছে হলে স্কুলে মিনিস্কার্ট পরে যাবেন?’ হিজাব মামলায় সুপ্রিম প্রশ্নবাণ
আজকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর মোজী বলেন, ‘আজ ভারতের উন্নয়নের বৃহত্তম অংশীদার বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে আমরা একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতাও ক্রমাগত বাড়ছে।’ প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘গত বছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আমরাও প্রথম মৈত্রী দিবস উদযাপন করেছি। আগামী দিনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।’