১০-১২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে তিনি গিয়েছেন ফ্রান্সে। ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স ও ভারত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিটে অংশ নিয়েছিল। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এআই সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে মূলত যেটা বলা হয়েছে গ্লোবাল এআই সেক্টর জনস্বার্থে নানা ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এআই অ্য়াকশন সামিট নিয়ে এই অভিনন্দন জানানো হয়েছে। পরের এআই সামিট আয়োজন করবে ভারত। তা নিয়ে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফ্রান্স। খবর পিআইবি সূত্রে।
এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্সে ষষ্ঠ সফর। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। উভয়ই মার্সাইলে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন মোদীকে নিয়ে একটি প্রাইভেট ডিনারের আয়োজন করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়গুলি। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। ২০৪৭ সালের রোড ম্যাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুলাই মাসে।
শান্তিপূর্ণ একটা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, গ্লোবাল চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়। উভয় দেশের দুই নেতাই ইউনাইটেড নেশনসের সিকিউরিটি কাউন্সিলকে সংস্কার করার উপর জোর দিয়েছেন আলোচনায়। UNSCতে ভারত যাতে স্থায়ী সদস্য হিসাবে থাকে সেব্যাপারে ফ্রান্স তাদের উল্লেখযোগ্য সমর্থনের কথা জানিয়েছে। গণ অত্যাচার কোথাও হলে তা নিয়ে ভেটো প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘকালীন গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ ও বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। বিদেশমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে এএনআই।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিউ দিল্লিতে ইন্ডিয়া-ফ্রান্স ইয়ার অফ ইনোভেশন লোগোর সূচনা করেছেন। আগামী ২০২৬ সালে এটা হবে দিল্লিতে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্য়ে। মধ্য় প্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচলা হয়েছে উভয়ের মধ্য়ে। উভয় দেশ নিয়মিত ভিত্তিতে নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এএনআই সূত্রে গোটা বিষয়টি জানা গিয়েছে।