রাহুল সিং
চিন সীমান্তে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া যথেষ্ট জটিল। এই পরিস্থিতিতে লাদাখ সেক্টরে রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনা। রবিবার বিষয়টি জানিয়েছেন কয়েকজন আধিকারিক।
ভারতের অনুরোধে দ্রুত রাফাল পাঠানোর বন্দোবস্ত করছে ফ্রান্স। আগামী ২৭ জুলাই আম্বালা বায়ুঘাঁটিতে ছ'টি রাফাল যুদ্ধবিমান পৌঁছে যেতে পারে। আগে অবশ্য ঠিক ছিল, প্রথম দফায় চারটি রাফাল পাঠানো হবে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক বলেন, ‘গত এক বছর ধরে ফ্রান্সে অ্যাডভান্সড ওয়েপন সিস্টেম-সহ বিমানের যাবতীয় প্রশিক্ষণ সেরেছেন এয়ার এবং গ্রাউন্ড কর্মীরা।’
অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লাদাখ-সহ যে জায়গায় প্রয়োজন, সেখানে কীভাবে যত দ্রুত সম্ভব রাফাল মোতায়েন করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে বায়ুসেনা। পাশাপাশি রাফালের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার কমান্ডারদের সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। নয়াদিল্লিতে আগামী ২২-২৪ জুলাইয়ের সেই সম্মেলনে বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকরা সম্ভবত চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ, বায়ুসেনার প্রস্তুতি এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার জন্য আরও কী কী কিনতে হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা করবেন।
রাফালের আগমনে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। ‘সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজ’-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল তথা এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) মনমোহন বাহাদুর জানান, রাফালের অন্তর্ভুক্তির ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রাফালে মিটিয়র বিয়ন্ড-ভিস্যুয়াল-রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র থাকছে। যা বর্তমানের মাঝারি পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের থেকে তিন গুণ শক্তিশালী। এছাড়াও লাদাখ বা অন্যান্য উঁচু এলাকার ঘাঁটি থেকে অভিযানের জন্য ‘কোল্ড ইঞ্জিন’-এই চালু হওয়ার ক্ষমতাও থাকছে রাফালে।