মিশরের সঙ্গে যৌথ মহড়া দিয়েছে ভারত। এদিন মিশরের গ্রেট পিরামিডের উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল। মিশরীয় বায়ু সেনাকেও একই লাইনে উড়তে দেখা গিয়েছে।উভয় দেশের বিমান বাহিনী একসঙ্গে হাত মিলিয়েই এই যৌথ মহড়া দিয়েছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও একই সঙ্গে আকাশ কাঁপিয়েছিল ভারত- মিশর। আর এটি ছিল ভারত ও মিশরের মধ্যে চতুর্থ যৌথ বিমান বাহিনীর মহড়া। ২১ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত, পাঁচদিন ব্যাপী এই মহড়া দিয়েছে দুই দেশ।
এডিম, মিশরে মহড়া চলাকালীন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর কন্টিনজেন্টের সঙ্গে দেখা করতে বেরিঘাট বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছিলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজিত গুপ্তে। ভারত ও মিশরের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলতেই মূলত, আইএএফ এবং ইএএফ এর মধ্যে চতুর্থ যৌথ মহড়া চলেছে।
উল্লেখ্য, দুই দেশের রাফাল বিমান ছাড়াও হোপেক্স নামের এই যৌথ মহড়ায় সি-১৭ এবং আই-৭৮ও সমান দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সফল হয়েছে দুই দেশের যৌথ মহড়া। এই সফল মহড়াকে মিশর ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের গাঁট আরও শক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত ও মিশরের পুরনো বন্ধুত্ব
ভারত এবং মিশরের সহযোগিতা, নতুন কোনও বিষয় নয়। আগে থেকেই দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলিতে দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় যোগাযোগ এবং সহযোগিতা রয়েছে। দুই দেশের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক বোঝাপড়া আজও প্রশংসনীয়। উভয় দেশই বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করেছে। জো টনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিল ভারত ও মিশর। এমনকি ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ তম বার্ষিকীও উদযাপন করেছিল ভারত ও মিশর। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ১৮ অগস্ট থেকেই, কূটনৈতিক সম্পর্কের হাত ধরে একসঙ্গে পথ চলছে ভারত ও মিশর।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল আল-সিসি। আগামী বছরগুলিতে কায়রো-দিল্লি সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও উন্নতির ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন এদিন। আল সিসির পোস্ট দেখে, পুনরায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন যে ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন গতি আসতে চলেছে। তিনি মিশরকে আশ্বাস দিয়ে আরও বলেছিলেন যে, আগামী বছরগুলিতে দুই দেশের আরও উন্নতি অর্জনের জন্য মিশরের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী।