লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতির মাঝে এবার সীমান্তে ভারতীয় সেনা অংশ নিতে চলেছে 'প্রলয়' শীর্ষক মহড়ায়। এই মহড়া যে ভারতীয় সেনার শক্তি প্রদর্শন ও শক্তি পরীক্ষার অন্যতম দিক তা বলাই বাহুল্য। উত্তর পূর্বে আয়োজন হতে চলা প্রলয় শীর্ষক এই নয়া মহড়ায় ভারতীয় বায়ুসেনার সমস্ত শক্তিধর অস্ত্রকে সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। থাকছে বিশেষ ড্রোন ইউনিট।
এই বিশেষ মহড়ায় থাকছে রাফায়েল। সঙ্গে সুখোই-৩০ নিয়ে বায়ুসেনার তাবড মহড়া চলবে। এছাড়াও বায়ুসেনার বাকি পরিবহনের নানান সরঞ্জাম হাজির থাকবে সেখানে। উল্লেখ্য, এমনই এক কমান্ড লেভেল ড্রিল এই বছরে শুরু করেছিল বায়ুসেনা। এই মাসের প্রথমের দিকেই তা হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এরপর যে মহড়া আসতে চলেছে উত্তরপূর্বে তা দুই দেশর সামরিক শক্তির দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। উত্তর পূর্বে একটা বড় অংশে রয়েছে চিনের সঙ্গে সংলগ্ন সীমান্ত। এই সীমান্তের বিশাল এলাকা জুড়ে আকাশ সীমায় পাহারা রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার। শিলংয়ে অবস্থিত বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ড প্রতি নিয়ত নজর রাখে চিনের গতিবিধির দিকে। লক্ষ্য করা হয়, কোনও চিনা যুদ্ধ বিমান ভারতের কোনও সীমান্তের দিকে আসছে কি না।
আসন্ন মহড়ায় নিডের জাদু দেখাতে চলেছে এস-৪০০। যা এলাকার এয়ার ডিফেন্স স্কোয়াড্রন। এলাকায় শত্রুর কোনও হানা হলে তা আঁচ করতে পারে এই সিস্টেম। উল্লেখ্য, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ড্রোন স্কোয়াড্রনকে ভারতীয় বায়ুসেনা হাজির করে রেখেছে সিকিম ও শিলিগুড়ি করিডরে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ডোকলাম অঞ্চলে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার পরে নিষ্পত্তি হয়েছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল ভাটের (অবসরপ্রাপ্ত) মতে, চিন ভারতের সংকল্প পরীক্ষা করতে চায়, দেখতে চায় বেজিংকে ভারত এড়িয়ে যেতে পারে কি না, এবং এলএসিকে সক্রিয় রাখতে এবং অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি উভয় ক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান চপ বজায় রাখতে চায়। উল্লেখ্য সদ্য উত্তর পূর্বের অরুণাচল প্রদেশে চিনের সেনা অবৈধভাব প্রবেশ করেছিল। যার পর মোক্ষম জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এরপর ভারতীয় বায়ু সেনা হাজির হচ্ছে আসন্ন 'প্রলয়'শীর্ষক মহড়া নিয়ে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup