সবকিছু হিসেব অনুযায়ী চললে জো বাইডেনের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই ক্ষেত্রে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হবেন ভারতীয়-আমেরিকান কমলা হ্যারিস। কিন্তু শুধু কমলাই নয়, ভারতীয় আমেরিকানরা নিম্ন কক্ষ হাউস ও উচ্চ কক্ষ সেনেটেও নির্বাচিত হতে চলেছেন। আগের চেয়ে এবার সংখ্যা বাড়তে পারে সামোসা ককাসের।
ভারতীয়-আমেরিকান জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সামোসা-ককাস বলে অভিহিত করেন। ককাস শব্দটির হল গোষ্ঠী। বিভিন্ন ইস্যুতে একসঙ্গে তারা সোচ্চার হন। অনেক সময় এই ককাসগুলি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে হয় কোনও অভিন্ন উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অমি বেরা, রাজা কৃষ্ণমূর্তি, প্রমীলা জয়পাল ও রো খান্না পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন হাউসে। এই নিয়ে পঞ্চম বার জিতলেন অমি, বাকিরা তৃতীয় বার। রো খান্না আরেক ভারতীয় আমেরিকান রীতেশ ট্যান্ডনকে হারিয়ে জিতলেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যেখানে সিলিকন ভ্যালি অবস্থিত। বিভিন্ন বিষয়ে ভারত সরকার বিরোধী অবস্থান নেওয়া প্রমীলা জয়পাল জিতেছেন ওয়াশিংটন থেকে। অমি বেরাও ক্যালিফোর্নিয়া থেকে জয়ী, রাজা জিতলেন ইলিওনয়েস থেকে। অ্যারিজনার ষষ্ঠ জেলা থেকে জেতার বিষয় আশাবাদী চিকিৎসক হিরাল তিপারেনি। তবে তিনি মাত্র দুই হাজার ভোটে এগিয়ে, এখনও ২৪ শতাংশ ভোট গণনা বাকি।
তবে অনেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী হেরেছেন, যেই নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই হতাশ হবেন তারা। টেক্সাসে হেরেছেন প্রেসটস কুলকার্নি, যেখানে অনেক ডেমোক্র্যাটরাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন। মেইনে সেনেট আসনের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে সারা গিডিওন। কার্যত সবাই ভেবেছিল তিনি এই আসনটি জিতবেন, কিন্তু এগিয়ে তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী। নিউ জার্সি থেকে সেনেটের লড়াইয়ে ছিলেন রিপাবলিকান রিক মেহতা। কিন্তু তিনি অনেকটাই পিছিয়ে। ভার্জিনিয়ায় হাউসের সদস্য হওয়ার জন্য লড়াইয়ে ছিলেন রিপাবলিকান মাঙ্গা আনান্তাতমুলা। তিনি হেরে গিয়েছেন। একই হাল ক্যালিফোর্নিয়ায় রিপাবলিকান দলের প্রার্থী নিশা মেহতার।