২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তার আগে নিজের ক্যাবেনিট সাজাচ্ছেন তিনি। এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা হয়নি কিন্তু ওয়াশিংটনের রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে অনেক নাম উঠে আসছে। তার মধ্যে আছে দুইজন ভারতীয়-আমেরিকানের নাম, যারা জায়গা পেতে পারেন বাইডেনের ক্যাবিনেটে। ইতিমধ্যেই ভারতীয়-আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্য়ারিসকে বেছেছেন জো বাইডেন। হবু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন যে তাঁর ক্যাবিনেটে থাকবে জাতি, বর্ণের অভিনব মেলবন্ধন।
যে দুই ভারতীয়ের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন প্রাক্তন মার্কিন সার্জেন জেনারেল বিবেক মূর্তি ও আরেকজন হলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অরুণাভ মজুমদার। এখন মার্কিন মুলুকে সবাই অরুণ বলে ডাকে আইআইটি বম্বের এই স্নাতককে। বিবেক মূর্তি পেতে পারেন স্বাস্থ্য ও মানব সেবা দফতরে সচিবের পদ। অরুণাভ মজুমদার হতে পারেন শক্তি সচিব। ওয়াশিংটন পোস্ট ও পলিটিকো এই তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন ব্যবস্থায় সচিবরা ভারতের মন্ত্রীদের সমতুল্য।
বর্তমানে মূর্তি বাইডেনের কোভিড অ্যাডভাইজরি বোর্ডের কো-চেয়ার হিসেবে কাজ করছেন। শক্তি সম্পর্কিত বিষয়ে বাইডেনের প্রধান উপদেষ্টা হলেন পেশায় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার অরুণাভ। অতীতে ওবামার সময় তিনি যে বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন, সেটাকে সমর্থন করে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দুই দলই। তাই সেনেটে তাঁর কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মার্কিন নিয়মে শুধু নিয়োগ হলেই হয় না, ১০০ সদস্যের সেনেটে সচিবদের কনফার্মও হতে হয়। তবে তালিকায় আরো কিছু নাম আছে, তাই শেষ অবধি বিবেক ও অরুণাভের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে কিনা, তা সময়ই বলবে।
এর আগে বিবেক মূর্তি সার্জেন জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেন ওহামার প্রশাসন। অন্যদিকে স্ট্যানফোর্ডে Jay Precourt Provostial Chair Professor হলেন অরুণাভ। স্ট্যানফোর্ডে শক্তি সংক্রান্ত যা যা কাজ হয়, সেটা নিয়ন্ত্রণ করে প্রিকোর্ট ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি, যেটার কো-ডিরেক্টর তিনি।
২০০৯ সালে ওবামা তাঁকে Advanced Research Projects Agency - Energy (ARPA-E)-এর ফাউন্ডিং ডিরেক্টর হিসেবে মনোনীত করেন। ২০১২ অবধি সেই কাজ করেন তিনি। এরপর গুগলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে কাজ করেন তিনি স্ট্যানফোর্ডে যোগ দেওয়ার আগে। ১৯৮৫ সালে আইআইটি থেকে পাশ করার পর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে ১৯৮৯ সালে পিএইচডি করেন তিনি। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখতে হয়নি।