পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালে চিনা আগ্রাসন এশিয়ার কূটনৈতিক আঙিনায় একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় হয়ে ওঠে। এরপর কেটে গিয়েছে বহু মাস। শীতের লাদাখ নিজের রূপ পাল্টাতে শুরু করেছে। এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে পূর্ব লাদাখে? তার উত্তরে ভারতীয় সেনার প্রধান মনোজ পাণ্ডে বলেন, ‘ আপাতত স্থিতিশীল তবে কিছু বলা যায় না।’ দেখা যাচ্ছে, পূর্ব লাদাখে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গেও কোনওভাবে সেনার সংখ্যা কমাচ্ছে না চিন।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে টানা ৩০ মাসের 'স্ট্যান্ড অফ' চলছে ভারত ও চিনের মধ্যে। সেখানে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে সেনা প্রত্যাহার, শান্তি ও স্থিতাবস্থা নিয়ে বহু পর্বে সেনা স্তরীয় আলোচনা হয়েছে। তবে সমাধানের রাস্তা এখনও উঠে আসেনি। দুই তরফের সেনার আলোচনা প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডেকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান, আপাতত ডেমচক ও ডেপসাং ইস্যুতেই চলছে আলোচনা। তাঁকে পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মনোজ পাণ্ডে বলেন, ‘যদি আমাকে পরিস্থিতির বিবরণ দেওয়া হয়, তাহলে একটা বাক্যে আমি বলব পরিস্থিতি স্থিতিশীল তবে কিছুই বলা যায় না। ’ লাদাখের পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি ভারত ও চিনের পরিস্থিতি বিবরণ দিতে শুরু করেন। ভারতের সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে বলেন, দুই দেশই যে আলোচনায় রয়েছে তা সকলেরই জানা। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র আলোচনার জন্যই চার পাঁচটি ফ্রিকশন পয়েন্টে সুষ্ঠু সমাধানের রাস্তা পাওয়া গিয়েছে।’
'জঙ্গি বা খুনি নই, বরং..', রাজীব হত্যায় সাজা মুক্ত রবিচন্দ্রন কী বললেন?
মনোজ পাণ্ডের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানান যে, ‘ আর দুটি ফ্রিকশন পয়েন্টের বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’ মনোজ পাণ্ডেই জানান যে চিনের তরফ থএকে সীমান্তে সেনা কমানো হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, সীমান্তে ক্রমাগত চিন নিজের পরিকাঠামো জোরদার করতে চেষ্টা করছে। অপ্রতিরোধ্যভাবে তারা সেকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে এয়ারফিল্ড তৈরি হচ্ছে, হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে, রাস্তা তৈরি হচ্ছে। মনোজ পাণ্ডে বলছেন, চিনের সবচেয়ে বড় পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা গিয়েছে জি ৬৯৫ হাইওয়ে তৈরির ঘটনা।