ভালো সংখ্যক চিনের সৈন্য সীমান্তের এপারে চলে এসেছে, ভারতও যা দরকার তাই করেছে।লাদাখে ঠিক কী হচ্ছে ভারত-চিনের মধ্যে, সেই নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল, তা অনেকটাই কেটেছে এখন রাজনাথ সিংয়ের এই অকপট স্বীকারোক্তির পর। তিনি বলেন যে ছয় তারিখ দুই দেশের সেনার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক আছে অচলাবস্থা কাটানোর জন্যে। এখন সেদিকেই সবার নজর।
বুধবার সকালে জানা গিয়েছে যে আগামী ছয় তারিখ লিউট্যানেন্ট জেনারেল স্তরে আলোচনা হবে পূর্ব লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা করা জন্য। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন ১৪ কর্পস কম্যান্ডার লিউট্যানেন্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং।
রাজনাথ সিং একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে মঙ্গলবার বলেন যে ভালো সংখ্যক চিনের লোক এসে গেছে এদিকে। যা করণীয় ছিল, ভারতও করেছে। সীমান্ত ঠিক কোনটা সেটা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মত পার্থক্যের কারণেই এই বিভ্রাট, বলে জানিয়েছেন রাজনাথ সিং। তিনি জানান ডোকলামের মতো এখানেও কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চলছে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্যে।
মঙ্গলবার মেজর জেনারেল স্তরের অফিসাররা ফের বৈঠক করেন। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই নিয়ে দুই স্টার জেনারেলদের মধ্যে এটি তৃতীয় বৈঠক হল।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার তিন জায়গায় ও প্যাংগং লেকের একটি জায়গায় একেবারে মুখোমুখি ভারত-চিন সেনা। জানা গিয়েছে এলএসি পেরিয়ে ভারতীয় দিকে ফিঙ্গার ৩-৪-এর মধ্যে চলে এসেছে চিনের সেনা। পালটা সেনা বাড়িয়েছে ভারত। প্রাথমিক ভাবে ভারত কেন সীমান্ত ধরে রাস্তা বানাচ্ছে, সেই নিয়ে আপত্তি চিনের। তারই জেরে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন এক বৈঠকে যদিও ঠিক হয়েছে যে কোনও ভাবেই পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ থামানো হবে না, চিনের রক্তচক্ষুর জন্য।