গত বছর অগ্নিপথ প্রকল্প কার্যকর করেছিল ভারতীয় সেনা। এর মাধ্যমে ৪ বছরের চুক্তিতে 'অগ্নিবীর'দের নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়ে বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বেশ কিছু রাজ্যে এই নিয়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। চাকরিপ্রার্থীরা এই স্কিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন।
তবে এরই মধ্যে ভারতীয় সেনায় নিয়োগের আরও একটি নয়া প্রক্রিয়া আসতে পারে। এর মাধ্যমে কিছু স্থায়ী পদ তুলে দেওয়া হতে পারে। তার বদলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এই পদগুলিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হতে পারে। কোনও নিয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে সেই চাকরি প্রদান করা হবে। লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রের খবর, এর ফলে প্রায় ৮০ হাজার পদের স্থায়ীত্ব চলে যেতে পারে। অর্থাত্, আগামিদিনে এই ৮০ হাজার পদে শুধুমাত্র চুক্তিভিত্তিক নিয়োগই করবে ভারতীয় সেনা। আরও পড়ুন: মার্চেই চাকরি ছাড়বেন, বানিয়েছিলেন বাড়িও, ঘরে ফেরা হল না বাঁকুড়ার জওয়ানের
রাঁধুনি, নাপিত, ধোপা ও সাফাইকর্মীর মতো পদে স্থায়ী নিয়োগ করা এড়াতে চাইছে ভারতীয় সেনা। এই পদগুলিতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব। এই অ-সামরিক পদগুলির সংখ্যা নেহাত্ কম নয়। দেশজুড়ে এই পদগুলিতে প্রায় ৮০ হাজার কর্মী কাজ করেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীতে ক্রমেই বেতন ও পেনশনের খরচ বাড়ছে। এদিকে সেনাবাহিনীর আধুনিকিকরণেও বিপুল খরচ হচ্ছে। সেই খরচ কুলিয়ে উঠতে তাই টাকা সাশ্রয় করা চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণেই এই প্রস্তাবের বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এগুলি প্রাথমিক প্রস্তাবের পর্যায়েই রয়েছে। এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ করা হয়নি।
এক সেনা আধিকারিক জানালেন, গত ২ বছরে করোনার কারণে কোনও নিয়োগ হয়নি। গত বছর প্রথম ব্যাচে মাত্র ৮০ হাজার অগ্নিবীরকে নিয়োগ করা হয়েছে। এভাবে ধীরে ধীরে বাজেট কাটছাঁটের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আরও পড়ুন: অকল্পনীয়! কোমর উঁচু বরফের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন 'সুপারম্যান' জওয়ান, ভাইরাল ভিডিয়ো
সেনা সূত্রে খবর, ২০৩২ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীর অর্ধেক জওয়ানই অগ্নিবীর হয়ে যেতে পারেন। আর সেই সময়ে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের গড় বয়স ৩২ থেকে নেমে ২৪-২৬-এ নেমে আসবে। সেনা আধিকারিকদের মতে এতে সুবিধাই হবে। জওয়ানদের গড় বয়স কম হলে গড় ফিটনেসের মান বাড়বে। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা আছে, এমন সেনাকর্মীর সংখ্যা বাড়বে।