ভারতীয় সেনার 'রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট' নাকি চিন হ্যাক করেছিল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন দাবি ঘুরঘুর করছে। এই আবহে ইস্যুটি নিয়ে জল্পনা ও চর্চা তুঙ্গে ওঠে। আর এহেন পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয় সেনাবাহিনী খোদ এই নিয়ে মুখ খুলল। চিন তাদের 'রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট' হ্যাক করেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সরাসরি খরিজ করেছে ভারতীয় সেনা। মিডিয়া কর্মী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের এই ধরনের যাচাইবিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে সেনাবাহিনী। এই প্রসঙ্গে বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, নিজেদের সম্পদের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেনা।
আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহে অভ্যুত্থান নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান খোদ, বললেন...
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে অভিযোগ করা হয়, পূর্ব সেক্টরে চিনের দিকে ঢুকে পড়ে ভারতীয় সেনার আরপিএ। সেই ভাইরাল পোস্টে আরও দাবি করা হয়, সেই আরপিএ হ্যাক করে নিয়েছে চিনারা। এই আবহে সেনার একটি সূত্র বলেছে, 'এটা স্পষ্ট করা হচ্ছে যে ওই পোস্টটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তথ্যগতভাবে ভুল। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।' জনসমক্ষে অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, এমন ভুয়ো বার্তা ছড়ানোর থেকে বিরত থাকতে আহ্বান করা হয়েছে সকলকেই।
উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে দিওয়ালির আগেই। ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে 'যাচাই পর্ব' চালিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। এই আবহে লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ায় ২০২৪ সালের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ঘোষণা করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের টহলের অধিকার মেনে নিয়েছে চিন। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কেটেছে।