প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ফের লাদাখের ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে টহল দিতে শুরু করল ভারতীয় সেনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের সংঘাতের আগে যে অবস্থান পর্যন্ত ভারতীয় সেনা টহল দিত, এখনও সেখান পর্যন্তই টহল দিতে শুরু করেছে তারা। এদিকে ডেপস্যাঙে আর দু-এক'দিনের মধ্যে ভারতীয় সেনা টহল দিতে শুরু করবে বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা। (আরও পড়ুন: ভারতে এসে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দিওয়ালি পালন প্রাক্তন পাক মন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে দিওয়ালি পালন রিজিজুর, কথা বললেন চিনা জওয়ানদের সঙ্গেও
উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে দিওয়ালির আগেই। ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে 'যাচাই পর্ব' চালিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দুই পক্ষের তরফ থেকই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই 'ভেরিফিকেশন' চলেছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে শেষবার ২০২২ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গোগরা হট স্প্রিং এলাকার প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল দুই দেশ। এরপর থেকে অবশ্য ভারত-চিন আলোচনা একপ্রকার থমকেই গিয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ঘোষণা করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের টহলের অধিকার মেনে নিয়েছে চিন। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কেটেছে। এর আগে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পশ্চিম দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় 'বটলনেক' অঞ্চলে টহলদারির ক্ষেত্রে ভারতকে আর বাধা দেবে না চিন।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সমাধাম সূত্র বেরিয়ে আসে সামরিক পর্যায়ের আলোচনায়। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের অবস্থাতেই ফিরছে ডেপস্যাং এবং ডেমচক। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন। ডেমচকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনার টহল।