বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Indian Army to learn Mandarin: তিব্বতি ইতিহাস-সংস্কৃতির পর এবার চিনা ভাষা শিখবে ভারতীয় সেনা

Indian Army to learn Mandarin: তিব্বতি ইতিহাস-সংস্কৃতির পর এবার চিনা ভাষা শিখবে ভারতীয় সেনা

তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিনা ভাষা শিখবে ভারতীয় সেনা (HT_PRINT)

সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, এই কোর্সটি তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে। কোর্সটি ১৬ সপ্তাহের হবে। এর আগে ২০২১ সালে ভারতীয় সেনা তিব্বতি ইতিহাস পড়াশোনা শুরু করেছিল। পাশাপাশি তিব্বতি সংস্কৃতি, ভাষা সম্পর্কেও পড়াশোনা করেছিল ভারতীয় সেনা। 

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতের সঙ্গে চিনের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে। বারংবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে পা রাখার চেষ্টা করেছে চিনা সেনা। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচলে এই একই পরিস্থিতি। এই আবহে সীমান্তে সদা সজাগ থাকছে সেনাবাহিনী। এদিকে এই ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনার জেরে যাতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ না বেঁধে যায়, তার জন্যও সতর্ক থাকতে হচ্ছে সেনাকে। কড়া হাতে চিনকে ঠেকানোর পাশাপাশি ধৈর্য দেখাতে হচ্ছে। পাশাপাশি মাঝেমাঝেই সেনা পর্যায়ের বৈঠকে বসতে হচ্ছে কর্তাদের। এই আবহে ম্যান্ডারিন ভাষা শিখতে চাইছে ভারতীয় সেনা। আর সেনাকে এই ভাষা শিখতে সাহায্য করবে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সেনার তরফে ৪ কোর এই মউ-তে স্বাক্ষর করে। এদিকে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এসএন সিংয়ের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মউ-তে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, এই কোর্সটি তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে। কোর্সটি ১৬ সপ্তাহের হবে। এই ভাষা শিক্ষার সিদ্ধান্ত এমন একটা সময় নেওয়া হল যখন লাদাখ ও অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি অরুণাচলের বেশ কিছু জায়গায় নামকরণ করে চিনা প্রশাসন। ভারত অবশ্য সেই নামকরণ প্রত্যাখ্যান করে। তবে এর থেকেই স্পষ্ট যে অরুণাচলকে 'দক্ষিণ তিব্বত' আখ্যা দিয়ে নিজেদের দাবি থেকে সরছে না চিন।

এদিকে ম্যান্ডারিন শিখলে ভারতীয় সেনার চিন সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি চিনা সেনার সঙ্গে প্রয়োজনে ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আলোচনাতেও তা সাহায্য করবে ভারতীয় সেনাকে। এদিকে সেনা পর্যায়ের আলোচনার সময় চিনা সেনার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতেও ভারতীয় সেনাকে সাহায্য করবে এই ভাষা জ্ঞান। এর আগে ২০২১ সালে ভারতীয় সেনা তিব্বতি ইতিহাস পড়াশোনা শুরু করেছিল। পাশাপাশি তিব্বতি সংস্কৃতি, ভাষা সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা সেনা যাতে প্রভাব বিস্তার না ঘটাতে পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছিল ভারতীয় সেনা। প্রসঙ্গত, গত মাসেই চিনা দূতাবাসের কর্তা মা জিয়া দাবি করেছিলেন, ভারত ও চিনের মধ্যকার কঠিন পরিস্থিতি উপনীত হতে চলেছে। তবে দুই দেশের কেউই যুদ্ধ চায় না। তাঁর এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনার চিনা ভাষা শিক্ষার সূচনা বেল উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বন্ধ করুন