পড়শি পাকিস্তানে বিয়ের নেমতন্ন খেতে গেলেন ভারতের নামজাদা ব্যবসায়ী! আর নিয়েই শুরু হল জোর চর্চা। কারণ, যাঁর বিয়ে উপলক্ষে এলাহী আয়োজন করা হয়েছিল, তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নওয়াজ শরিফের নাতি!
এই 'বিগ ফ্যাট ওয়েডিং'-এ যে ভারতীয় ব্যবসায়ী যোগ দিয়েছিলেন, তিনি হলেন সজ্জন জিন্দল। শুধু তিনি একা নন, তথ্য বলছে, বিয়ের এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও। তাঁরাও তাই যোগ দিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নওয়াজের নাতির বিয়েতে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের এই অংশগ্রহণের খবরটি বৃহস্পতিবার সামনে এনেছেন একজন পিএমএল - এন নেতা।
সজ্জন জিন্দল ভারতের জেএসডাব্লিউ স্টিল সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সূত্রের খবর, গত রবিবার পাকিস্তানের লাহোর বসেছিল রাজকীয় বিয়ের আসর। সেই আয়োজন করা হয়েছিল শরিফ পরিবারের পেল্লায় প্রাসাদ জাতি উমরা রাইউইন্দে।
শোনা যাচ্ছে, বিয়ের আসরে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০০। তাঁদের মধ্যে বহু স্থানীয় বাসিন্দা যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন বহু বিদেশি। আর সেই বিদেশি অতিথিদের মধ্যে অন্যতম হলেন সজ্জন জিন্দল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সকলের উপস্থিতিতে নতুন জীবনে পদার্পণ করলেন শরিফের নাতি জাইদ হুসেন নওয়াজ শরিফ।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র সজ্জন জিন্দল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, এই বিয়ের অনুষ্ঠানে আরও অনেক ভারতীয় অতিথি নিমন্ত্রিত ছিলেন। একথাও পাকিস্তানের বর্তমান শাসকদল পাকিস্তান মুসলিম লিগ - নওয়াজ (পিএমএল - এন)-এর পক্ষ থেকে তাদের এক নেতা জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফের পরিবারের সঙ্গে ভারতের জিন্দল পরিবারের সখ্য বহু পুরোনো। এই সম্পর্ক এতটাই দৃঢ় যে নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসেন শরিফ যখন গাল্ফ এলাকায় একটি ইস্পাত কারখানা গড়ে তোলেন, সেই সময় তাঁকে পূর্ণ সহযোগিতা ও সাহায্য করেছিল ভারতের এই জিন্দল পরিবার।
আরও শোনা যাচ্ছে, এই বিয়ের অনুষ্ঠানে যাতে জিন্দল-সহ অন্যান্য ভারতীয় পরিবারের যোগদানের বিষয়টি নিয়ে সেভাবে হইচই না হয়, তা সর্বতোভাবে শরিফদের তরফে চেষ্টা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জিন্দল পরিবারর জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলেও দাবি সূত্রের।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র শরিফের নাতির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই একদিনের সফরে পাকিস্তান গিয়েছিলেন জিন্দল পরিবারের সদস্যরা। মুম্বই থেকে একটি বিশেষ বিমানে লাহোর পৌঁছন তাঁরা।
শুধু তাই নয়, বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, এবং অতিথিদের নিরাপত্তা যাতে একটুও বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে গত রবিবার জাতি উমরা ঘিরে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়।