বাঘের হামলায় মৃত্যু হল ভারতীয় ক্রিকেটার মিন্নু মনির কাকিমার। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাকিমার ছবি পোস্ট করে ভারতের প্রতিভাবান ক্রিকেটার লেখেন, ‘এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। কিছুক্ষণ আগে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে জানতে পারলাম। (কেরলের) ওয়েনাড়ে পঞ্চরাকোল্লিতে বাঘের আক্রমণে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, উনি আমার কাকার স্ত্রী ছিলেন। আশা করছি যে যত দ্রুত সম্ভব ওই হামলাকারী বাঘকে ধরা হবে। আর ওই এলাকার মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। মিন্নামনির আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
বনমন্ত্রীর বড় দাবির পরদিনই সেই ঘটনা ঘটেছে!
সেই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তুমুল অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁরা দাবি করেছেন, শুক্রবার সকালে ওয়েনাড়ের প্রিয়দর্শিনী এস্টেটে কফি তুলতে গিয়েছিলেন মহিলা। সেইসময় বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় ৪৭ বছরের মহিলার। আর সেই ঘটনা যেদিন ঘটেছে, তার ঠিক আগেরদিন কেরলের বনমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে রাজ্যে বন্যপ্রাণী এবং মানুষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা কমছে। আর রাজ্য সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ করছে।
মন্ত্রীর সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বনমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পরদিনই বাঘের আক্রমণে মহিলার মৃত্যুর জেরে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ভারতীয় ক্রিকেটারের কাকিমার দেহ আটকে রেখে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য প্রাথমিকভাবে দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। কেরলের তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নমন্ত্রী ও আর কেলুর সামনেই বিক্ষোভ চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: ট্রফিহীন দল আরসিবি-কে নির্মম পরিহাস কুলদীপের, ভিডিয়ো দেখে হাসছে নেটপাড়া
বাঘকে মেরে ফেলা হবে অথবা ধরা হবে, আশ্বাস প্রশাসনের
শেষপর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাস পাওয়ার পরে ময়নাতদন্তের জন্য মহিলা দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব বাঘটিকে হত্যা করা হবে বা ধরা হবে। মন্ত্রী কেলু জানিয়েছেন যে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে বাঘকে হত্যা করা বা ধরার নির্দেশ জারি করে দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া যাঁরা সকালের দিকে কাজে যান, তাঁদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য এলাকায় র্যাপিড রেসপন্স টিম (আরআরটি) মোতায়েন করা হচ্ছে। কেলু জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ফেন্সিং বসানোর প্রকল্পেও অনুমোদন পড়ে গিয়েছে। সেজন্য টাকা বরাদ্দ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু টেন্ডার জটে সেই কাজ আটকে আছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সফল হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব সেই প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেরলের মন্ত্রী।