পশ্চিমী দেশগুলির নির্ধারিত ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারের মাত্রার উপরে দাম দিয়ে রুশ তেল কেনার সময়ে 'মাঝে মাঝে' ভারতীয় সংস্থাগুলির কিছুটা বিলম্ব হয়। সোমবার এমনটাই জানালেন ভারতের তেল সচিব পঙ্কজ জৈন। কিন্তু এই কথার অর্থ কী?
'দামের উর্ধ্বসীমার উপরে রুশ তেল কেনা নিয়ে আমাদের কেউ বাধা দেয় না। আমরা পশ্চিমী পরিষেবা ব্যবহার করছি না,' এক ইভেন্টে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান পঙ্কজ জৈন। আরও পড়ুন: গত ২৪ বছরের সর্বোচ্চ পেট্রোল-ডিজেল বিক্রি! রেকর্ড গড়ল ভারত
মার্কিন ডলার বাদে অন্য মুদ্রায় লেনদেন
সাতটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সত্ত্বা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া গত বছরের শেষের দিকে এই মূল্যসীমা স্থির করে দেয়। রাশিয়ার তেলের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে পশ্চিমী পরিষেবা এবং শিপিং নিষিদ্ধ করা হয়।
অর্থাত্, এমনিতে এই ধরনের বড় অঙ্কের আন্তর্জাতিক লেনদেন মার্কিন ডলারে করা হয়। কিন্তু ৬০ ডলারের উর্ধ্বসীমার উপরে থাকলে তখন ক্রেতা দেশকে অন্য পন্থা নিতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যুদ্ধবিরোধী জোট ৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার তেলের মূল্যে সীমা আরোপ করার পর থেকে, ভারত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডলার ছাড়াই অর্থ প্রদান করেছে। ডলারের বদলে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহীর মুদ্রা দিরহাম এবং সম্প্রতি রাশিয়ার রুবেল দিয়ে তেল কিনেছে ভারত। আর এগুলি করতে গিয়েই মাঝে মাঝে কিছুটা 'বিলম্ব' হচ্ছে।
রাশিয়ার তেলের দাম এই উর্ধ্বসীমা বা ক্যাপের উপরে থাকলে, ভারতের তেল সংস্থাগুলি টাকা প্রদানের জন্য বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করে নেয়। তিনি অবশ্য এটাও জানিয়ে দেন যে, ভারতে বেশিরভাগ রুশ তেলই এই ক্যাপে নিচেই কেনা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভারত গ্রেডের উপর নির্ভর করে অন্য দেশ থেকেও বড়সড় ছাড়ে তেল কিনতে চাইছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের শুরু থেকেই ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। সেই সময়ে পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ার উপর বাণিজ্যিক বয়কটের ডাক দিয়েছিল। ফলে রাশিয়া কাকে তেল বেচবে বুঝতে পারছিল না। এমন সময়ে ভারত পশ্চিমী দেশগুলির বয়কটের ডাক অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনতে শুরু করে। আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট দামের কমে রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না ভারত-রিপোর্ট