গোটা বিশ্বে এখন আলোচ্য বিষয় ইউক্রেন যুদ্ধ। সম্প্রতি কোয়াডের অনলাইন বৈঠকেও ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, কোয়াডভুক্ত দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতই রাশিয়ার বিরুদ্ধে না গিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি তিনটি দেশই সরাসরি রাশিয়াকে তোপ দেগেছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক ভাবে ভারতের কিছুটা কোণঠাসা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল এই চতুর্দেশীয় জোটে। আবার মনে করা হয়েছিল, চিন এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের বদলে ইউক্রেনের দিকে নজর চলে যাবে এই জোটের। তবে সেই যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোয়াডের মূল ফোকাস এখনও ইন্দো-প্যাসিফিক।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, বৃহস্পতিবার কোয়াডের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে আলোচনায় ইউক্রেনের পরিস্থিতি উঠে এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমি শুধু জোর দিয়ে এটা বলতে চাই যে কোয়াডের মূল ফোকাস রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিকের উপরই। আপনি দেখতে পাবেন যে চারটি দেশই ইতিবাচক কার্যক্রম, উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের উপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করার জন্য পূর্ব সূচি ছাড়াই কোয়াড সম্মেলনের অহ্বান করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকের পরে ভারতীয় পক্ষের একটি বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে কোয়াডকে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি উন্নীত করার মূল লক্ষ্যে মনোযোগী থাকতে হবে।’
এদিকে কোয়াড সম্মেলনের পরে চার দেশের যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার কোনও উল্লেখ ছিল না। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এই জোটে ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়নি। তাই জোটের বাকি তিন দেশ ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককে ‘বুঝতে পেরে’ নিজেদের জোটের ফোকাস ইউক্রেনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না। অরিন্মদ বাগচির কথায়, ‘ইউক্রেনের ইস্যুটি বড়, তবে এর জন্য বিশ্বের অন্যত্র যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে, তা চলে যায়নি।’