লাদাখ নিয়ে যখন চিন–ভারত দ্বৈরথ চলছে তখন বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিঙ্গলা এবং ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে মায়ানমারের কাউন্সেলর আন সান সুকির সঙ্গে দেখা করলেন।
চিন যখন ভারতের অরুণাচলকে টার্গেটে রাখছে, তখন উত্তর–পূর্ব সীমান্তের জঙ্গি সংগঠনগুলিকেও তারা নিজের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে। যে গোষ্ঠীকে তুলোধনা করছে মায়ানমার। আর তাই মায়ানমারে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিঙ্গলাকে নিয়ে সফরে গেলেন দেশের সেনাপ্রধান এমএম নরভানে। এখানে তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সুকির হাতে এদিন করোনা যুদ্ধের সহায়তা করে ভারত রেমডিসিভিরের ৩ হাজার ভায়াল তুলে দেন তাঁরা। তাতে খুশি সুকি। দু’দিনের সফরে মায়ানমার গিয়েছেন বিদেশ সচিব এবং সেনাপ্রধান।
এদিকে উলফা থেকে নাগা উগ্রপন্থীদের গোষ্ঠী ভারতের সেনার দাপটের টিকতে না পেরে মায়ানমারের দিকে আশ্রয় নিয়েছিল। মায়ানমার সেনাও সেখানে কড়া হাতে দমন করে উগ্রপন্থাকে ঠাঁই দিচ্ছে না। দুই দেশের সেনা পর্যায়ের একটি বৈঠক নিরাপত্তাকে ফোকাসে রেখে সম্পন্ন হবে বলে সূত্রের খবর।
কালাদান প্রজেক্টের একটি অংশ মায়ানমারের সিট্টে বন্দর। সেই বন্দরের নিরাপত্তা চিনের আগ্রাসনের বিষয়ে ও সীমান্তে উগ্রপন্থার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে ধরে রাখা নিয়েও দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গত অগস্ট মাসে ভারতের পক্ষ থেকে মায়ানমারকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল সীমান্তে উন্নয়ন শুরু করা জন্য। ২০১২ সালে তা শুরুও হয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত তার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া যে সমস্ত রোহিঙ্গারা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন, তাঁরা যেন ফের মায়ানমারে যেতে পারেন, সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ–মায়ানমারের এই দ্বিপাক্ষিক বিষয়টি নিয়ে ভারতকে আলোচনায় বসার জন্য বহুদিন ধরে বাংলাদেশ আর্জি জানাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়েছে চিন। তাই ভারতের দুই প্রতিনিধির জন্য মায়ানমার সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।