বাংলাদেশজুড়ে যখন হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের খবর সামনে আসছে, বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনা ঘটছে, তার মধ্যেই বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-সহ বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই অনুসারে, আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী। একথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
সেই তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের কার্যনির্বাহী সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিক্রম মিস্ত্রী।
একইসঙ্গে, এবারের এই সফরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক সারবেন ভারতের বিদেশ সচিব।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ এই একই বিষয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবারই (৬ ডিসেম্বর, ২০২৪) ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশ সচিবের এই আসন্ন বাংলাদেশ সফরের কথা ঘোষণা করা হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, 'আলোচনা' করতে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব।
উল্লেখ, দিন কয়েক আগেই ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে তারা সেদেশে বসবাসকারী সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
এই আসন্ন সফর নিয়ে এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব। তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য - 'ফরেন অফিস কনসালটেশনস'। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার এটা আমাদের প্রয়াস।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগ ওঠে, আদালতে মামলা লড়ারও সুযোগ পাননি চিন্ময় কৃষ্ণ। কারণ, তাঁর হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী সওয়াল না করেন, তা নিশ্চিত করতে রীতিমতো হুমকি দেয় কট্টরপন্থীরা।
ফলত, চিন্ময় কৃষ্ণের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলা একমাসের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, বিনা বিচারেই হাজতবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন ওই সন্ন্যাসী।
বিষয়টি সামনে আসার পরই ভারতের তরফ থেকে এ নিয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করা হয়। সেই ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রশাসনের প্রতি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়।
ভারতের বক্তব্য হল - বাংলাদেশে বসবাসকারী 'প্রত্যেক হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।'