ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ফের অশান্তি ছড়িয়েছে। ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জড়িত বাসভবনটি ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই আবহে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকেই আঙুল তুলছে ইউনুসের সরকার। এই আবহে দিল্লিকে নতুন করে এক প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বাংলাদেশের 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' দবি করেছে, হাসিনা যেন ভারতে বসে 'মিথ্যে এবং মনগড়া' বক্তব্য পেশ না করেন। আর এই সবেরই মাঝে এবার সংসদের উচ্চকক্ষে উত্থপিত হল শেখ হাসিনা ইস্যু। রাজ্যসভায় জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কি ঢাকার হাতে তুলে দেবে ভারত? এই নিয়ে সংসদের সামনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরল মোদী সরকার। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা হাতে আইন তুলে নেওয়ায় 'অসন্তোষ', ইউনুসের ব্যর্থতা তুলে ধরে সরব BNP)
আরও পড়ুন: ফলের আগে 'খেলা' শুরু দিল্লিতে? '১৬ প্রার্থীকে ২৪০ কোটির অফার',বিস্ফোরক কেজরিওয়াল
বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভায় কেরলের সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস সরকারের থেকে জানতে চান, বাংলাদেশ কি তাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে? কোন কোন কারণ দেখিয়ে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা? শেখ হাসিনাকে কি বাংলাদেশের কাছে তুলে দেবে ভারত? এই তিন প্রশ্নেরই জবাব দেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ। তিনি জানান, বাংলাদেশ হাসিনাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট হাসিনা ভারতে আসার আগে বাংলাদেশে যা সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করা হয়েছে। এরই সঙ্গে মোদী সরকারের মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়ে কোনও জবাব এখনও পাঠানো হয়নি। (আরও পড়ুন: আমেরিকা ও মিত্রদের 'নিশানার জের', আন্তর্জাতিক আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের)
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে গত ২ দিন ধরে বাংলাদেশে যে ধ্বংসলীলা চলছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনাকেই দায়ী করেছে ইউনুসের সরকার। এহেন পরসিস্থিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতে বসে হাসিনা যে ভাষণ দিচ্ছেন, তা বাংলাদেশের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ‘স্বাস্থ্যকর’ সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে মোটেও সহায়ক নয়। সরকারের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতা করে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন হাসিনা। ওই আন্দোলনের সময় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অপমান করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। আজগুবি গল্প ফেঁদেছেন।