সীমান্ত নিয়ে নেপালের দাবির পিছনে অন্য কারও উস্কানির কথা বলে ভারতীয় গোর্খা গোর্খা সেনা জওয়ানদের আহত করেছেন সেনাপ্রধান এম এম নরভানে। এমনই দাবি করলেন নেপালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল।
চিনের নামোল্লেখ না করে ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভানের ওই মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক চমক’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন পোখরেল। তাঁর অভিযোগ, ‘যে সমস্ত গোর্খা সেনাকর্মী ভারতকে সুরক্ষিত করতে জীবন বিপন্ন করেন, এই মন্তব্যে তাঁদের অনুভূতিকে আহত করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কৈলাস-মানস সরোবর তীর্থযাত্রীদের সুবিধায় উত্তরাখণ্ডের ধারচুলা থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিমি রাস্তার উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার জেরে ওই সড়ক নেপালের অধীনে থাকা জমির উপরে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় কাঠমান্ডু। তার পরেই নেপালের নতুন মানচিত্র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে কালাপানি ও লিপুলেখ অঞ্চল নেপালের অন্তর্গত বলে দাবি জানায় নেপাল। কাঠমান্ডুর দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিয়ে অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে বলে নেপালের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ আনা হয়েছে। তার জেরেই উল্লেখ না করে চিনা ইন্ধনের দাবি করেন জেনারেল নরভানে।
কিছু দিন আগে নেপালি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি তকরেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত গোর্খা সৈন্যরা সেনাপ্রধানের কথায় আহত বোধ করেছেন এবং তাঁদের পক্ষে ভারতের প্রতি আনুগত্য বজার রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একই সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের ওই উক্তি রাজনৈতিক চমক বলে বর্ণনা করে পোখরেল দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বে থেকে এ হেন মন্তব্য করা অসমীচিন। তাঁদের দেশেবাহিনীর সেনা এমন ‘অপেশাদার’ আচরণ কখনও হয় না বলেও জানাতে ভুল করেননি নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি ভারতে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র’ বলে জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে ‘দখল করা নেপালের সম্পত্তি আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রত্যর্পণ করবে ভারত।’
পোখরিয়ালের অই মন্তব্যের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারতীয় সেনাবাহিনী।উল্লেখ্য, ভারতের গোর্খা রেজিমেন্টে বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি নেপালি গোর্খা জওয়ান নিযুক্ত রয়েছেন।