প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার সাংবাদিক ললিত কে ঝা সদ্য নিগৃহিত হয়েছেন খালিস্তানি প্রতিবাদীদের দ্বারা। শনিবার ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি আহত হন। তিনি জানাচ্ছেন, দুই বান্ডিল লাঠি এনেছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সামনেই একটি পার্কে যেখানে গান্ধী মূর্তি রয়েছে, সেখানে সেই লাঠি মজুত করা ছিল। বিচ্ছন্নতাবাদী খালিস্তানিদের সেদিনের নিগ্রহের ঘটনার কয়েকটি দিক তুলে ধরেছেন সাংবাদিক ললিত কে ঝা। কিছু তথ্য একনজরে।
যে কাঠের লাঠি সেদিন সাংবাদিককে মারধর করতে ব্যবহার হয়েছিল তা স্যান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় কনস্যুলেটের জানলা দরজা ভাঙতে এই একই লাঠি ব্যবহার করা হয়েছিল। একটি বান্ডিলকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পতাকা টাঙাতে ব্যবহার করা হয়েছিল, আর বাকি ২০ টিতে লাঠি এমনি রাখা হয়েছিল।
ললিত ঝা বলছেন, প্রতিবাদীদের একজন তাঁর বাঁ কানে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তিনি সেই খালিস্তানি প্রতিবাদীদের ছবিও তুলে ধরেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
বলা হচ্ছে, যে স্লোগান ও ভাষণ দেওয়া হচ্ছিল,তাতে হিংসায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছিল। ভারতীয় দূতাবাসে হামলার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন ওই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
সাংবাদিক ললিত ঝা বলছেন, সিক্রেট সার্ভিসের প্রতিনিধিরা এই অবস্থা দেখেই পরিস্থিতি সামলাতে ঝাপিয়ে পড়েন। যেখানে প্রতিবাদের স্থল ছিল সেখানে তাঁদের সরে যেতে বলেন প্রশাসনিক কর্তারা।
সাংবাদিক বলছেন, প্রতিবাদীরা এতটাই তৈরি হয়ে এসেছিলেন যে দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা স্যান ফ্রান্সিসকো ও লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে যেভাবে খালিস্তাবপন্থীরা হামলা চালিয়েছেন, সেভাবেই ফের একবার হামলা হবে।
যে খালিস্তানপন্থীরা ওই প্রতিবাদ সভা ডাকেন, তাঁরা ভারতীয় সাংবাদিকদের দেখেই ভীষণ হিংসাত্মক মনোভাব তুলে ধরছিলেন। ধাক্কা দেওয়া হয় নিগৃহিত ললিত ঝাকে, তাঁর মুখের সামনে বিচ্ছিন্নতাবাদী পতাকা তুলে ধরা হয়।
একজন প্রতিবাদী সাংবাদিক ললিত ঝাকে প্রশ্ন করতে থাকেন, হেনস্থা করেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ওই সাংবাদিক ঠিক কী লিখতে চলেছেন ওই ঘটনা নিয়ে?
পরে সিক্রেট সার্ভিস প্রতিনিধি সাংবাদিক ঝাকে প্রশ্ন করেন যে, তিনি কি কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাইবেন? সাংবাদিক জানান, তিনি অভিযোগ দায়েরে ইচ্ছুক নন।