আমেরিকাতে বসবাসকারী ভারতীয় কপিল রঘু ভাবতেও পারেননি যে পারফিউমের একটি বোতলের কারণে তিনি এত বড় সমস্যায় পড়বেন। রঘুকে একটি ট্র্যাফিক স্টপে থামানো হয়েছিল এবং অনুসন্ধানের সময় তার ব্যাগ থেকে একটি পারফিউমের বোতল বের হয় যার উপর 'Opium' (ওপিয়াম) লেখা ছিল।
কর্মকর্তারা এটিকে ড্রাগস মনে করে এবং রঘুকে আটক করে। তাঁকে প্রথমে জেলে পাঠানো হয় এবং পরে ভিসা বাতিল করা হয়। রঘু একজন আমেরিকান নাগরিককে বিয়ে করেছেন এবং তাঁর স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। ৩ মে তারিখে তাঁর ট্র্যাফিক নিয়মে সামান্য ভুল হয়েছিল। এরপর তাঁকে থামানো হয়। চেকিংয়ের সময় তাঁর গাড়িতে একটি ছোট বোতল পাওয়া যায় যার উপর 'Opium' (ওপিয়াম) লেখা ছিল।
কর্মকর্তাদের দাবি বোতলটিতে অবৈধ পদার্থ ছিল। রঘু বারবার কর্মকর্তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে বোতলে শুধুমাত্র পারফিউম, তা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করা হয়। রঘু আমেরিকাতে একজন ফুড ডেলিভারি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন। রঘু একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের সাথে কথা বলার সময় বলেন যে এই পদক্ষেপে তিনি খুব কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
তিনি বলেন, আমি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে সহযোগিতা করছি। ল্যাবে যখন বোতলটি পরীক্ষা করা হয়, তখন জানা যায় যে এতে কোনো ড্রাগস নয়, পারফিউম ছিল। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের সময় রঘু এমন কিছু কথা বলেছিলেন যার কারণে তার উপর ভিসা নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তাঁর আইনজীবীর দাবি যে ভুলটি হয়েছিল তা একটি প্রশাসনিক ত্রুটি, যা তাঁর প্রাক্তন আইনজীবীর কারণে হয়েছিল।
রঘুকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম এনফোর্সমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাকে ৩০ দিন পর্যন্ত আটক রাখা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক) সংক্রান্ত অভিযোগ খারিজ হওয়ার পরেও তার উপর ডিপোর্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কপিলকে এখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাঁকে ডিপোর্ট করার প্রক্রিয়া চলছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি চাকরিও করতে পারছেন না এবং পরিবারকে সাপোর্টও করতে পারছেন না। রঘু বলেন, এই মুহূর্তে আমার স্ত্রী সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছে। কপিল এপ্রিলেই আলহলি মায়েজের সঙ্গে বিয়ে করেন। তাঁরা একটি বাড়ি কেনার জন্য তাঁদের সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে ফেলেছেন এবং এখন আইনজীবীর ফি দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।