শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগের পর থেকেই প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক আর 'মধুর' নেই ভারতের। এদিকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতেই আশ্রয় নিয়েছেন। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইছে ঢাকা। এই নিয়ে দিল্লির দিকে তাকিয়ে ঢাকা। এরই মাঝে আবার হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নাকচ নিয়েও ঢাকার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে দিল্লি। এই সব ইস্যু নিয়েই গতকাল প্রশ্নের মুখে পড়েন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক কিনছে। এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে। (আরও পড়ুন: একদিনে ১৫ কিমি… বাঘিনী জিনাতের পিছু নিয়ে পুরুলিয়ার সীমানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার)
আরও পড়ুন: 'দ্বিতীয় আরজি কর হবে', শান্তিপুরে মহিলা ডাক্তারকে হুমকি সুপারের, নিষ্ক্রিয় পুলিশ
তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের ট্যাঙ্ক কেনা প্রসঙ্গে গতকাল রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'নিরাপত্তা জনিত সব বিষয়ের ওপরই আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।' এদিকে গতকাল চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর ইস্যুতে ঢাকাকে বার্তা দেয় দিল্লি। এই নিয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'বাংলাদেশে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা যেন একটা ন্যায্য় বিচার পান। এটাই আমাদের মূল প্রত্যাশা।' আর হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এক সপ্তাহ আগে আমি কনফার্ম করেছিলাম যে আমরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের থেকে একটি বার্তা পেয়েছি। তারপর এনিয়ে আমার আর কিছু যোগ করার নেই।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ)
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের প্রত্যর্পণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফর্মালিটি থাকে। তবে বাংলাদেশ সরকার নাকি সেই সব না করেই বলে যাচ্ছে - 'হাসিনাকে দিল্লি ফেরত পাঠাবে না'। এই সবের মাঝে ভারত নাকি বাংলাদেশের 'নোট ভার্বাল'-এর জবাব নাও দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি শীর্ষকর্তা নাকি এই বিষয়ে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। এরই মাঝে সরকারি ভাবে হাসিনাকে নিয়ে মুখ খুলল না দিল্লি। (আরও পড়ুন: 'দলে দু’রকমের মত রয়েছে...', মমতার মন্ত্রীর অকপট স্বীকারোক্তিতে চরমে জল্পনা)
এদিকে হাসিনা ইস্যুতে ভারত জবাব না দিলে বাংলাদেশ কী করতে পারে? এই নিয়ে হাসিনা ইস্যুতে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছিলেন, 'কূটনৈতিক পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও সরকারি চ্যানেলে আমরা কোনও উত্তর পাইনি। এই মুহূর্তে আমরা কোনও মন্তব্য করব না, বরং ভারতের সরকারের জবাবের জন্য অপেক্ষা করব। সেই জবাবের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।' বাংলাদেশি সরকারি আধিকারিক আরও বলেছিলেন, 'যদি বন্দি বিনিময় চুক্তি দেখা যায়, তাহলে সেখানে কোনও সময়সীমার উল্লেখ নেই। তাই ভারতের উত্তর পাওয়ার জন্যে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা একটা সময় পর্যন্ত বিষয়টি দেখব। যে কোনও ক্ষেত্রে জবাব দেওয়ার একটা স্বাভাবিক সময় আছে। সেই সময়ের মধ্যে জবাব না এলে আরও একটা তাগিদপত্র দেওয়া হবে। তবে এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এখনই বলা মুশকিল হবে।'